সারাদেশের ন্যায় খুলনাতেও কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো জনশূন্য থাকলেও অলিগলি আর বাজারে রয়েছে মানুষের ভিড়। এদিকে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে বিজিবি।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত দেখা গেছে পুলিশ, বিজিব ও প্রশাসনের সদস্যদের। জনগণ ও যানবাহনের চলাচল রোধ করতে মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলেই তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে নগরীর সকল দোকানপাট।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলা মোড়ে কয়েকটি ফলের দোকান ছাড়া বাকিসব দোকান বন্ধ ছিল। এছাড়া নগরীর পিটিআই মোড়, রয়্যাল মোড়, শান্তিধাম মোড়, রূপসা মোড়, শিববাড়ি মোড়েও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
সরেজমিন দেখা যায়, অপ্রয়োজনে রাস্তায় মোটরসাইকেল বের করার অপরাধে কয়েকটি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে তাদের থানায় পাঠানো হয়েছে। তবে বিগত লকডাউনের সময় রাস্তায় গণপরিবহন দেখা গেলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রিকশা ছাড়া কোনো যান্ত্রিক পরিবহন ছিল না রাস্তায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে অস্বাভাবিকভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। মন্ত্রী পরিষদের নির্দেশে বিধিনিষেধ চলমান রয়েছে। খুলনার অবস্থা খুব ভয়াবহ। প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই মানুষকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমাদের চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা।’
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি আভিযানিক দল বড়বাজারে দুজনকে ১৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, সরকারি নির্দেশিত বিধিনিষেধ অমান্য করায় অসীম কুমার নামের এক ব্যবসায়ীকে এক হাজার টাকা জরিমানা ও অপ্রয়োজনে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হওয়ায় একজনকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।