কঠোর লকডাউনের মধ্যদিয়ে একটি বিয়েবাড়ির সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন। কয়েক ঘন্টা পর বর আসবে বরযাত্রী বহর নিয়ে। কিন্তু বাঁধ সাদল বেরসিক প্রশাসন। বিয়ের সংবাদে বরযাত্রীর আগে প্রশাসনের একটি দল কনের বাড়িতে হঠাৎ উপস্থিত। নিমেশেই বিয়ে বাড়ির সমস্ত আয়োজন আনন্দ থমকে গেল, কণের হাতের মেহেদীর পলেস্তার এখনো বিদ্যমান, সাঝানো গেইট খুলে ফেলা হল। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার জাফগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীপুকুরপাড় গ্রামের মৃত; আব্দুল হাকিমের বাড়িতে। বিয়ের সংবাদে দেবীদ্বার ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান ও থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) মোঃ আরিফুর রহমান একদল পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ের সমস্ত আয়োজন বন্ধ করে দেন।
স্থানীয়রা জানান, দেবীদ্বার উপজেলার শ্রীপুকুরপাড় গ্রামের মৃত; আব্দুল হাকিমের কণ্যা পারুয়ারা আব্দুল মতিন খসরু আদর্শ ডিগ্রী কলেজ’র দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার’র সাথে বুড়িচং উপজেলার দেবপুর গ্রামের হরিনধরা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ির আব্দুল মজিদের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী আরিফ হোসেন’র সাথে বিয়ের পাকা কথা হয়। বিয়ে সম্পন্ন করায় শুক্রবার দুপুরে বরযাত্রী আসার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে কণের ভাই মোঃ সোহেল আহমেদ জানান, কণে আমাদের তিন ভাইয়ের আদরের একমাত্র ছোট বোন, তাই ভালো বর পেয়ে হাতছাড়া করতে চাইনি। সখের বসে গেইট থেকে নানা আয়োজনে ঘাটতি রাখিনি। করোনার কারনে খুব বেশী লোকের আয়োজন করিনি। বরযাত্রী সহ শ’খানেক লোকের আমন্ত্রনেই বিয়ে সম্পন্ন করতে চেয়েছিলাম। প্রশাসনের বাধার মুখে এখন ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে সম্পন্ন করে নেব। এ ব্যাপারে দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান বলেন, বিয়েটা শুক্রবার হওয়ার কথা ছিল, এ করোনাকালে বিয়ের আয়োজনের সংবাদে কণের পক্ষকে অতিথি সমাগম না করে এবং তাদের রান্নার আয়োজন বন্ধ করে দিয়েছি। দু’পক্ষের কয়েকজনকে নিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করার কথা বলে এসেছি।