ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
লকডাউন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫
Published : Thursday, 1 July, 2021 at 7:09 PM
লকডাউন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫বগুড়ার ধুনটে কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে দোকান ও মাদ্রাসা খোলা রাখা নিয়ে বিরোধে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত পাঁচ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে উপজেলার সোনাহাটা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মারপিটে দুজন আহত হয়েছেন। বিকাল পর্যন্ত কেউ মামলা দেয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, অন্যান্য এলাকার মতো ধুনটেও কঠোর বিধিনিষেধ শুরু চলছে। সকাল থেকে উপজেলার সোনাহাটা বাজার এলাকায় জিনিয়াস মডার্ন মাদ্রাসা খোলা রেখে পাঠদানের কাজ চলছিল। ওই বাজারের মণ্ডল স্টোরের মালিক আশিকুর রহমান মানিক এর প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে মাদ্রাসার পরিচালক মহসিন আলী ও গোলাম মোস্তফার সঙ্গে মানিকের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজনের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে। মানিকের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। মারপিটে সোনাহাটা বাজারের মণ্ডল স্টোরের মালিক আশিকুর রহমান মানিক (৩৫), মাদ্রাসা পরিচালক মহসিন আলম (৪২) ও গোলাম মোস্তফাসহ (৪৬) উভয়পক্ষের পাঁচ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ধুনট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ বিষয়ে মণ্ডল স্টোরের মালিক মানিক অভিযোগ করে জানান, বিধিনিষেধ অমান্য করে মাদ্রাসায় পাঠদান করা হচ্ছিল। তিনি এর প্রতিবাদ করায় মাদ্রাসার পরিচালক মহসিন ও অন্যরা তাকে মারপিট করে আহত করেছেন। এ সময় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ভাঙচুর করা হয়েছে।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে মহসিন আলম দাবি করেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে মানিক ও তার লোকজন তাকে মারপিট করেছেন। তার দোকানে হামলা করা হয়নি।

ধুনট থানার ওসি জানান, বিধিনিষেধ চলাকালে মাদ্রাসা ও দোকান খোলা নিয়ে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। উভয়পক্ষের দু-তিন জন সামান্য আহত হয়েছেন। বিকাল পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।