Published : Saturday, 3 July, 2021 at 12:00 AM, Update: 03.07.2021 12:17:22 AM
করোনাভাইরাস
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ‘কঠোর লকডাউনের’ দ্বিতীয় দিন বৃষ্টি ও সাপ্তাহিক ছুটির
মধ্যে কুমিল্লা নগরী ও বিভিন্ন উপজেলা এলাকার রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা
ছিলো। লকডাউনের প্রথম দিনের মতো গতকালও নগরীর বিভিন্ন মোড়ে ছিলো আইন
শৃঙ্খলাবাহিনীর চেকপোস্ট। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি সেনাবাহিনী-বিজিবির
জিপ টহল দিয়েছে রাস্তায়। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কান্দিরপাড়,
রাজগঞ্জ, টমসনব্রিজ, চকবাজার, শাসনাগাছা, পুলিশ লাইন্সসহ বিভিন্ন এরাকার
ঘুরে অলগলিতে লোকজনের সামান্য উপস্থিতি দেখা গেলেও প্রধান সড়কগুলো ছিলো
অনেকটাই ফাঁকা।
শুক্রবার ছুটির দিন এবং টানা বৃষ্টির কারণে রাস্তায়
যানবাহনের চাপ যেমন কম ছিল, তেমনি লোকজনের আনাগোনাও তেমন ছিল না। বেশিরভাগ
সড়কে রিকশাসহ অল্প কিছু যানবাহন চলছে। তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে কোথাও কোথাও।
শুক্রবার (২ জুলাই) কুমিল্লার ব্যস্ততম এলাকা কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ,
টমসনব্রিজ, চকবাজার, শাসনাগাছা ঘুরে দেখা গেছে বেশিরভাগ রাস্তা ফাঁকা। সকাল
থেকে বৃষ্টির কারণে এবং বৃহস্পতিবারে অকারণে ঘুরতে বের হওয়া অনেককে আটক ও
জরিমানার ঘটনায় দোকানপাট কিছু খোলা পাওয়া গেলেও লোকজনের উপস্থিতি কম দেখা
গেছে।
তবে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকার ভেতরের গলিগুলোতে দোকানপাট বন্ধ
থাকলেও বেশকিছু দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। জুমার নামাজের আগে ও পরে সেসব
স্থানে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও তুলনামূলক কিছুটা বেশি ছিলো।
এর
আগেরদিন বৃহস্পতিবার কঠোর লকডাউনে নগরীর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে জেলা
করোনা কমিটি জানিয়েছে, লকডাউনে কোন বাজারে দোকানপাট খোলা থাকবে না, বরং
খোলা জায়গায় নিত্যপ্রয়োজনীয়-কাচামালের দোকানপাট বসানো যায় কি না সে
ব্যবস্থা করতে হবে। কেউ বিনা কারনে বাইরে বের হবে না। জরুরী প্রয়োজনে শুধু
রিকশা ব্যবহার করা যাবে। লকডাউন যে কোন আইন অমান্য করলেই শাস্তির আওতায়
আনা হবে বলেও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।