ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেবিদ্বারে কঠোর লকডাউনে কঠোর এসিল্যান্ড
শাহীন আলম
Published : Friday, 2 July, 2021 at 6:56 PM
দেবিদ্বারে কঠোর লকডাউনে কঠোর এসিল্যান্ড১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। এ নিয়ে সরকারও কঠোর অবস্থানে। সরকারি নির্দেশনা পালনে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। 
শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে ভিজেই দেবিদ্বার উপজেলা সদরের বিভিন্ন পয়েন্ট অভিযান চালাচ্ছেন এসিল্যান্ড মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। এসময় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় মামলা ও জরিমানা করছেন পথচারীদের। রোগী ও জরুনি খাদ্যপণ্য বহন করা যানবাহন ছাড়া অন্যসকল যানবাহনের চালককে জরিমানা আদায় করে যেদিক থেকে আসছে সেদিকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। অভিযান চলাকালে পুরো সদর এলাকা জনশূন্য হয়ে যায়।
সদর এলাকার প্রভাষক সাইফুল ইসলাম শামীম  বলেছেন, মানুষ এতকিছুর পরও  সচেতন হচ্ছে না, কারণে অকারণে ঘর থেকে বের হচ্ছে। এসিল্যান্ড কঠোর অবস্থানের কারণে মানুষ সচেতন হওয়ার শিক্ষা পাবে।  
ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন দ্বিতীয় দিনের সকাল ১১টা পর্যন্ত ৪০টি মামলায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। জরিমানা আদায় চলমান রয়েছে বলেও জানা যায়।  
এদিকে, প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে বিপাকে পড়েছে সীমিত আয়ের মানুষ। লকডাউনের কারণে কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়েছে। এতে অনেকের আয় কমেছে, অনেকে কাজ হারিয়েছেন। এ অবস্থার মধ্যেও মানুষের চিকিৎসা ও পরিবহণসহ বিভিন্ন ব্যয় দিন দিন বেঁড়েই চলেছে। 
সদর এলাকার ফল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী, নাটোর, চাপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন জাতের আম এসেছে। লকডাউনের কারণে বিক্রি করতে পারছি না, আমগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে অনেক টাকার লোকশান গুনতে হবে।
নিম্ন আয়ের মানুষ বারেরা গ্রামের নাজমুল হাসান বলেন, কর্মহীন অবস্থায়ও প্রতিদিন যেভাবে তাদের ব্যয় বেড়ে চলেছে তাতে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে তা ভেবে চোখে অন্ধকার দেখছি। কবে এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেদিকেই তাকিয়ে আছি। 
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন,  দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা বেঁড়েই চলছে। জরিমানা আদায় বা মানুষকে কষ্ট দেয়া আমাদের লক্ষ্য নয়, আমরা চাই মানুষ এ মহামারি থেকে বেঁচে থাকুক। পরিবার পরিজন নিয়ে সুরক্ষায় থাকুক। জরিমানা আদায়ের মধ্য দিয়ে সাময়িক শাস্তি ও সচেতন করা হচ্ছে মাত্র।