Published : Friday, 2 July, 2021 at 12:00 AM, Update: 01.07.2021 11:52:08 PM
তানভীর দিপু:
করোনা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি বিধিভঙ্গ করায়
কুমিল্লায় ৩১১ টি মামলায় আড়াই লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করেছে
ভ্রাম্যমান আদালত। ২ জনকে তিনমাস করে কারাদন্ডও দেয়া হয়েছে। গতকাল
বৃহস্পতিবার কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি কুমিল্লায়
মাঠে ছিলো সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা। গতকাল
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দোকানপাট ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান ছিলো বন্ধ। রাস্তাঘাটও ছিলো ফাঁকা। প্রশাসনিক তৎপরতায় লকডাউন
পরিস্থিতির উন্নতির চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। করোনা নিয়ন্ত্রনে সংশ্লিষ্টরাও
জানান- কঠোর লকডাউন সফল ভাবে সফল করা গেলে ভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসবে।
অপরদিকে
কুমিল্লা জেলায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চলমান লকডাউন
বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টা আহ্বান করেছেন কুমিল্লা জেলা করোনা প্রতিরোধ
কমিটির উপদেষ্টা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি। এছাড়া জেলা করোনা কমিটির
উপদেষ্টা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, লকডাউন বাস্তবায়নে
কঠোর অবস্থানেই থাকবে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার কঠোর
লকডাউনের প্রথম দিনে সকাল থেকেই কঠোর অবস্থানে ছিলো প্রশাসন। নগরীর
বানিজ্যিক ও জনবহুল এলাকা ছাড়াও উপজেলা সদরগুলোতেও ছিলো মোবাইল কোর্টের
কড়াকড়ি। নগরীতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা
আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা
প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নেতৃত্বে পর্যবেক্ষণে বের হয় যৌথ বাহিনী।
এসময় শহর ও শহরতলী এলাকায় গিয়ে তারা সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে লকডাউন
বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। এসময় রাস্তার পাশে খোলা দোকানপাটে
মালিকগণকে লকডাউন বিধি মানার জন্য সতর্ক করেন।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে,
কুমিল্লা জেলায় সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে ৪৫ টি মোবাইল কোর্ট টীম,
সেনাবাহিনীর ১২টি টীম, পুলিশের ৫৬টি টীম, বিজিবির ৫টি টীম এবং আনসার
ভিডিপির ৪টি টীম কাজ করে।
বৃহস্পতিবার কঠোর লকডাউনে নগরীর
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে জেলা করোনা কমিটি জানায়, লকডাউনে কোন বাজারে
দোকানপাট খোলা থাকবে না, বরং খোলা জায়গায় নিত্যপ্রয়োজনীয়-কাচামালের
দোকানপাট বসানো যায় কি না সে ব্যবস্থা করতে হবে। কেউ বিনা কারনে বাইরে বের
হবে না। জরুরী প্রয়োজনে শুধু রিকশা ব্যবহার করা যাবে। লকডাউন যে কোন আইন
অমান্য করলেই শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ
থেকে জানানো হয়।