ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মিথ্যা তথ্য প্রচারের নিন্দা কুবি শিক্ষক সমিতির
Published : Friday, 2 July, 2021 at 12:00 AM, Update: 01.07.2021 11:51:29 PM
মিথ্যা তথ্য প্রচারের নিন্দা কুবি শিক্ষক সমিতিরতানভীর সাবিক, কুবি ।।
ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে জাতির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতি।
বুধবার (৩০ জুন) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. শামীমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি এ প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার তা গণমাধ্যমে পাঠায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত বিস্ময় ও উদ্ধেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, গত ২৯ জুন '৭১ টিভি'তে প্রচারিত 'একাত্তর জার্নাল' অনুষ্ঠানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুটিকয়েক শিক্ষক দেশের স্বনামধন্য একটি টিভি চ্যানেলকে ব্যবহার করে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য উপস্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছেন। তারা নিয়মতান্ত্রিক প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে অনিয়মকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আংশিক ও খন্ডিত তথ্য উপস্থাপন করে দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সম্পর্কে নানাবিধ বিভ্রান্তিমূলক ও অসত্য তথ্য উপস্থাপন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া উপাচার্যের অর্জনগুলোকে ঢাকবার জন্য মিথ্যা ও অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দুইজন শিক্ষক উপাচার্য ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে জনসমক্ষে বিব্রত ও হেনস্তা করেছেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নিয়েও মিথ্যাচার করে তার সুষ্ঠুভাবে চলমান দায়িত্ব ও কর্তব্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে।
তাদের এ ধরনের মিথ্যা ও পরিকল্পিত অপপ্রচার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে অস্থিতিশীল করবার একটি নোংরা প্রয়াস হিসেবে পরিগণিত। উপাচার্যের গতিশীল কার্যক্রমের প্রচেষ্টায় এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ১৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্প লাভ করেছে। এ প্রকল্পের কাজের গুণগত মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়।
বর্তমানে প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। যেখানে প্রতিবন্ধকতা তৈরীর জন্য একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। প্রতিটি উপাচার্যের মেয়াদের শেষ সময়ে যা তারা করে থাকে।
শিক্ষক সমিতি মনে করে, গুটিকয়েক শিক্ষকের এ ধরনের নেতিবাচক কর্মকা- বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করার একটি হীন প্রচেষ্টা। তাই এ ধরনের অপপ্রচার ও অপপ্রয়াসের বিষয়ে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে শিক্ষক সমিতি। একইসাথে দেশের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসমূহকে এ বিষয়ে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের অনুরোধ করা যাচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসম্মানকে জাতির সামনে ভুলুণ্ঠিত করার দায়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উক্ত শিক্ষকগণের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৯ নভেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ‘কুবিতে পরীক্ষা না দিয়ে মেধা তালিকায় ১২তম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর প্রেক্ষিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির শঙ্কা সৃষ্টি হলে ৩০ নভেম্বর ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত শেষে গত বছরের ফেব্রুয়ারির দিকে প্রতিবেদন জমা দিলেও এক বছরের বেশি সময় পর গত ২৭ জুন সিন্ডিকেটে বিষয়টি উঠানো হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভূঁইয়কে দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে আচরণ ও শৃঙ্খলাবিধি-২০১৮ অনুসরণ করে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দেয়।
তবে বিষয়টি নিয়ে মাহবুবুল হক ভূঁইয়া নিজেকে নির্দোষ দাবী করেছেন। তবে তদন্ত কমিটি বলছে এ ঘটনায় তার জড়িত থাকার বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছে।