ফেনীর আলোচিত রাজনীতিক জয়নাল হাজারী এবার অভিনেত্রী পরীমণির প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। সম্প্রতি ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হওয়ার অভিযোগে মামলা করেন এই অভিনেত্রী। শুক্রবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে জয়নাল হাজারী এ ঘটনার জন্য পরীমণিকেই দায়ী করেছেন।
ফেসবুকে পরীমণি প্রসঙ্গে হাজারী বলেন, ‘মেয়েটা বোট ক্লাবে না গেলে এ ঘটনা ঘটতো না। তাকে যদি ধর্ষণ করা হয় বা নির্যাতন করা হয়, তা তো তার দোষেই হয়েছে। সে তো জানে ওই ক্লাবে কী হয়। মদ খাওয়া হয়, জুয়া খেলা হয়। আমি যদি জেনে শুনে বাঘের মুখে পড়ি, বাঘ তো আমাকে খাবেই। সাপের গায়ের ওপর পা দিলে তো কামড়াবেই। এটা তো জানা কথাই, তাহলে সে কেনো গেলো। মূলত এটার জন্য আমি তাকে অপরাধী করি।’
তিনি বলেন, ‘একটা কথাতেই সব শেষ হয় যে, এই মেয়ে বোট ক্লাবে গিয়েই অপরাধ করেছে। তিনি বোট ক্লাবের ঘটনার পর থানায় গিয়েছিলেন মামলা করতে। তবে পরীমণি অসংলগ্ন মাতাল ছিলেন বলে সেই মামলা নেননি থানার ওসি সাহেব। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সে যদি মাতাল হয় তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করার নিয়ম। কিন্তু তখন তা কেন করা হলো না।’
এদিকে ফেনীর স্থানীয় রাজনৈতিকরা মনে করছেন, রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাওয়া জয়নাল হাজারী সব সময় আলোচনা-সমালোচনায় থাকতে পছন্দ করেন। এই কারণে তার এমন ফেসবুক ভাষণ। ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য জাহানারা বেগম সুরমা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘জয়নাল বয়োবৃদ্ধ হলোও তার পুরনো স্বভাব বদলায়নি। সব কিছুতে সস্তা কথা বলে আলোচনা থাকা তার পুরনো স্বভাব। এখন এটি তার বয়সের সঙ্গে মানায় না। দলের উপদেষ্টার হওয়ার যে মর্যাদা তা রক্ষা তিনি রক্ষা করতে পারছেন না।’
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা জানান, এর আগে ১৯৯১ সালেও সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় তার চিরকুমার থাকার পেছনে ‘বিজু’ নামের এক তরুণীকে দায়ী করেন তিনি। বিজুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কাহিনী তার নিজের লেখা বইতেও লিখেছেন। সেই সময়ও তার লেখা ‘বিজুর বিচার চাই’ বইটি ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে এক তরুণীকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছনাকারী যুবকদের পক্ষ নেন তিনি।