মঞ্চ, নাটক, সিনেমা, ওয়েবফিল্ম-যাই হোক না কোন সবখানেই চঞ্চল চৌধুরী প্রশংসিত। যা করেন সেটিই আলোচিত ও প্রশংসিত হয়। এজন্য তাকে শিল্প জগতের পরশপাথর বলেন অনেকেই। সমকালীন কিছু কিছু বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যেই নিজের অনুভূতির কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন চঞ্চল চৌধুরী। এবার কথা বললেন ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে।
সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘অতি প্রশংসা বা সম্মান প্রদর্শনের আরেক নাম তৈল মর্দন। যেমন, মাঝে মধ্যেই আমার পোস্টের কমেন্টে বা ইনবক্সে আমাকে ‘কিংবদন্তী’ অভিনেতা হিসেবে অভিহিত করে অনেকেই অনেক প্রশংসা করে থাকেন। তাতে আমি আনন্দিত বা গর্বিত হওয়ার চেয়ে, অনেক বেশি বিব্রত হই। সোজা সাপ্টা কথা বলি। আসলে এতো বড় ‘বিশেষণ’ ধারণ করার যোগ্যতা আমার নেই। ‘অভিনেতা’ বা ‘প্রিয় অভিনেতা’ এটুকু বললেই আমি মহা আনন্দিত বা আহ্লাদিত হই।’
সবার অবগতির জন্য তিনি লিখেছেন, ‘জীবিত কালেই যদি সকল ‘উপাধি’ এবং ‘বিশেষণ’ প্রদান শেষ হয়ে যায়, তাহলে মৃত্যুর পরে দেবার মতো এরকম ‘বিশেষণ’ বা ‘উপাধি’র আকাল হবে। একজন মানুষকে অতি প্রশংসায়, এমন উঁচুতে কখনো তোলা উচিত নয়, যাতে সেখান থেকে পড়ে গিয়ে তার ঠ্যাং হাত পা ভেঙে যায়। কারণ, একজন মানুষ যতো বেশি প্রশংসিত হন, তার গালি খাওয়ার রাস্তাটিও ততই সুপ্রশস্ত হয়। আমার কাছে সবচেয়ে বড় উপাধি ‘একজন ভালো মানুষ’।
ভিডিওতে থাকা ছেলেটির পরিচয়ও করে দেন এই অভিনেতা। লিখেছেন, নীচের ভিডিওতে যে ছেলেটাকে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, ওর নাম ‘হৃদয়’। কিছুদিন আগে উত্তরায় একটা শুটিং লোকেশনে ওর সাথে দেখা। দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। তারপরের অংশ টুকু আমার মেকআপ আর্টিস্ট মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেছিল। এতো মানুষের ভালোবাসা। এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না: চঞ্চল চৌধুরী
চঞ্চল চৌধুরীর ভেরিফাইড পেজের ফলোয়ার সংখ্যা সম্প্রতি ‘পনের লক্ষ’ অতিক্রম করেছে। সেজন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।