Published : Tuesday, 6 July, 2021 at 1:54 PM, Update: 06.07.2021 1:56:21 PM
করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের মধ্যেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১১৪ চিকিৎসককে একযোগে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে রোববার ও সোমবার জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের সহস্রাধিক চিকিৎসককে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। সেখানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১১৪ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব জাকিয়া পারভীনের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে, ‘কোভিড-১৯ অতিমারী মোকাবিলা এবং জনসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের এই কর্মকর্তাদের সংযুক্তিতে পদায়ন করার কথা বলা হয়েছে।
বুধবারের মধ্যে বদলি হওয়া চিকিৎসকদের নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সেখানে তারা কোভিড ইউনিটে দায়িত্ব পালন করবেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, “হাসপতালের ১১৪ জন চিকিৎসককে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কোভিড ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসকরাও আছেন। তাততে চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হতে পারে।”
তিনি বলেন, “সারাদেশেই চিকিৎসকদের বদলি করা হয়েছে। সে হিসেবে চট্টগ্রামেও হয়েছে। তবে আমাদের এখনও রিপ্লেসমেন্ট দেওয়া হয়নি। বদলির বিষয়ে আমি সচিব মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি।”
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে কোভিড ওয়ার্ডে লাল ও হলুদ জোন মিলিয়ে ৩০০ বেড রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৩১৩ বেডের বিপরীতে দুই থেকে আড়াই হাজার রোগী ভর্তি থাকেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে চিকিৎসকদের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি, ২৫০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, খাগড়াছড়ি, ফেনী এবং বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেলের ৩০ জন চিকিৎসককে একই হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে বদলি করা হয়েছে।
সরকার সমর্থক স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেলে কোভিড ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের রোগী আছেন।
“চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও বিআইটিআইডি বিদ্যমান চিকিৎসক দিয়ে ভালোভাবে চলছে। মেডিকেল থেকে ডাক্তার নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসা ব্যাহত হবে।’’
তাছাড়া সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলমান লকডাউনের মধ্যে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকদের নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়াও কঠিন হবে বলে মনে করেন ডা. মিনহাজ।