১৩ জনের খেলোয়াড় তালিকায় নাম ছিল না। তারপরও নিষ্ফলা প্র্যাকটিস ম্যাচের শেষ দিন পড়ন্ত বিকেলে ৩৫ মিনিট ব্যাটিং করেছেন তামিম ইকবাল। হয়তো ম্যাচ কন্ডিশনে তার হাঁটুতে কোনো সমস্যা হয় কি না, সেটাই খুঁটিয়ে দেখা হয়েছিল।
কিন্তু মুশফিকুর রহীম প্র্যাকটিস ম্যাচে নামতেই পারেননি। তা দেখে সংশয় আরও প্রবল হয়েছিল। তবে কি ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ খেলতে পারবেন না? টিম বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিশ্রমী, অধ্যবসায়ী আর নিবেদিতপ্রণ ক্রিকেটারটিকে ছাড়াই কি তবে হারারেতে মাঠে নামতে হবে মুমিনুলের দলকে?
হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো অবশ্য আগের দিনই (সোমবার) সে সন্দেহ দূর করেছিলেন অনেকটা। জানিয়েছিলেন, মুশফিকের খেলা নিয়ে সংশয় নেই তেমন।
টেস্ট শুরুর ঠিক আগের দিন অধিনায়ক মুমিনুল হকও আশ্বস্ত করলেন ভক্ত ও সমর্থকদের। জানিয়ে দিলেন, ‘কোনো সমস্যা নেই। মুশফিক ভাই অবশ্যই খেলবেন।’
বলার অপেক্ষো রাখে না, মুশফিক সাম্প্রতিক সময়ে টিম বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পারফরমার। ইতিহাস ও পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮৪৬ রান (৯ টেস্টে) মুশফিকের।
ক্যারিয়ারের তিন ডাবল সেঞ্চুরির দুটিই জিম্বাবুয়ানদের বিপক্ষে তার। ইতিহাস সাক্ষী দিচ্ছে, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে পরপর দুই সিরিজে জিম্বাবুয়ের সাথে এক জোড়া ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন এ উইকেটকিপার কাম মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
মুশফিকের টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ স্কোর ২১৯-ও এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি দুই দেশের সর্বশেষ টেস্টেও ঢাকার শেরে বাংলায় দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মুশফিক।
তবে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুশফিকের ব্যাট যত সাবলীল, তার ব্যাট থেকে রানের নহর যেভাবে বয়েছে, জিম্বাবুয়ের মাটিতে তেমন হয়নি। জিম্বাবুয়েতে ৪ টেস্টে একবারও সেঞ্চুরির নাগাল পাননি মুশফিক। সর্বোচ্চ ৯৩। মোট রান ২১৪। হাফসেঞ্চুরি দুটি। গড়ও তুলনামূলক অনেক কম, ৩৫.৩৬।
যে দলের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের দু’দুটো ডাবল সেঞ্চুরি, তাদের মাটিতে কি না একটি সেঞ্চুরিও নেই! মুশফিকেরও নিশ্চয়ই এই পরিসংখ্যানটা জানা আছে। আর নিজেকে ভেঙে সামনে এগিয়ে যাওয়ার তাড়না মুশফিকের চেয়ে বেশি দলের আর কার আছে? এবার তবে একটা সেঞ্চুরির আশা করাই যায়!