সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল যতটা ভালো, লংগার ভার্সন ক্রিকেটে ততটা নয়। পরিকল্পনার অভাবেই মূলত এই ফরম্যাটে সংকটকাল কাটাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, দেশের বাইরে সাফল্য নেই বললেই চলে। বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেশের বাইরে আরেকটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। এই টেস্টে ফল কেমন হবে, এটা অগ্রিম বলা খুব কঠিন!
তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের ফল যেমনই হোক না কেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন। সেখানেই তিনি টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘আমরা লংগার ভার্শন ক্রিকেট নিয়ে একটা চিন্তা-ভাবনা করেছি। এই সেপ্টেম্বর থেকে করোনা কিছুটা স্বাভাবিক হলে আগামী মৌসুম থেকে ভালো একটা শুরু করতে চাই। লংগার ভার্সন দলটাকে এমনভাবে সাজাতে চাই, যেটা আগামী দুই বছরের মধ্যে ভালো ফল এনে দেবে। আমাদের নির্বাচক প্যানেল থেকে এতদিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছি। ওভাবে এগোতে পারলে, লাল বল ক্রিকেটে ভালো অবস্থানে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ।’
ইতিমধ্যে প্রস্তাবনাগুলো তৈরি করে ফেলেছে নির্বাচক প্যানেল। কয়েকদিনের মধ্যেই সেগুলো বোর্ডে পাঠানো হবে। প্রস্তাবনাগুলোর ব্যাপারে নান্নু জানিয়েছেন, অনূর্ধ্ব-২৩ দল তৈরি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। পাশাপাশি হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলায় জোর দিচ্ছেন তারা। এছাড়া যতটা সম্ভব ক্রিকেটারদের লাল বলে অনুশীলন, ম্যাচ অনুশীলন ও ফিটনেসের উন্নতিতে জোর দিচ্ছেন তারা।
আরও কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে, যেগুলো মাঠে প্রয়োগ করলে টেস্ট ক্রিকেটে ভালো পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস সাবেক এই ক্রিকেটারের, ‘দেশের বড় দৈর্ঘ্যর ক্রিকেট যদি শক্তিশালী না হয়, তাহলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করতে পারবেন না। সব বিভাগে আপনাকে শক্তিশালী হতে হবে। এজন্য বড় সময়ের জন্য কাজ করতে হবে। আমরা দুই বছরের পরিকল্পনা সাজাচ্ছি। এটা ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারলে আমাদের উন্নতি হবে। আমরা তখন টেস্টেও ভালো অবস্থানে যেতে পারবো।’
বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট সিরিজটি চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচক, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজ সবসময় চ্যালেঞ্জিং। কারণ হারারের আবহাওয়া, কন্ডিশন, উইকেটের অবস্থা আমাদের মতো নয়। আমাদের প্লেয়াররা এখানে (দেশে) অন্যরকম কন্ডিশনে খেলে গেছে, ওখানে কিন্তু যথেষ্ট ঠাণ্ডা। আশা করি খেলোয়াড়রা দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে।’