ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লায় ৩দিনে ১৮ মৃত্যু
Published : Thursday, 8 July, 2021 at 12:00 AM, Update: 08.07.2021 12:14:24 AM
কুমিল্লায় ৩দিনে ১৮ মৃত্যুনিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লায় ৩ দিনে মৃত্যুবরন করেছেন ১৮ জন। গত দুই দিন টানা ৭ জন করে এবং এর আগের দিন ৪ জন মৃত্যুবরনের খবর প্রকাশ করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। তাদের অধিকাংশই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারান। কুমিল্লা জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫০৭। পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ১৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১১ জন এবং নারী ৭ জন। এর মধ্যে ৯ জনই কুমিল্লা সিটি এলাকার। এছাড়াও দেখা গেছে, মৃত্যুবরনকারীদের বেশিরভাগই পঞ্চাশোর্ধ্ব। তবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় পঞ্চাশের চেয়ে কম বয়সীদের মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের চিকিৎসকদের মতে, যারাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে তারা বেশির ভাগই শেষ সময়ে এসে চিকিৎসা নিতে আসছেন। যে কারনে মৃত্যুর সংখ্যাটা বেড়ে যাচ্ছে। আর যদি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ যেমন বেশি তেমনি মৃত্যুর হারও বেশি। আর যারা আগে থেকেই দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রেও মৃত্যুর ঝুঁকিটা বেশি থাকে।
কুমিল্লা জেলায় গড় মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ।  এসব তথ্য থেকে শুধুমাত্র যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন তাদের। তবে উপসর্গ নিয়ে কতজন মৃত্যুবরন করছেন তার কোন তথ্য নেই কুমিল্লার স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে। কিন্তু প্রতিদিন কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা থেকে যে হারে মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায় কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে মৃত্যুর খবর ভেসে আসে- তা থেকে সহজেই অনুধাবন করা যায় এসব মৃত্যুবরনকারীদের অধিকাংশই করোনা উপসর্গে আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়া কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও অনেকেই মৃত্যুবরন করছেন যারা করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু পজেটিভ শনাক্ত হওয়ার না কারনে এসব সরকারি হিসাবে আসছে না।
হিসেব মতে এখনো কুমিল্লায় ৩ হাজার ৮৪৩ জন করোনা আক্রান্ত হাসপাতাল ও বাসাবাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন। কুমিল্লা মেডিকেল ও সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের উপর চাপ কমাতে দুশ্চিন্তায় আছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলছেন,  আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোকে ‘ব্যাক আপ’ হিসেবে প্রস্তুত করছি। যাদের অতিরিক্ত প্রেশারের অক্সিজেন না লাগবে তাদের স্ব স্ব উপজেলাতেই চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করছি।