হারারে টেস্টে মাঠে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সমর্থক ও নির্বাচকদের হতাশ করেন দলের তরুণরা।
সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত দলকে বিপদে ফেলে আসেন। এমনকি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও তরুণদের ব্যর্থতার সাড়িতে যোগ দেন। ৫ বলে ৩ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন।
যদিও অধিনায়ক অভিজ্ঞ মুমিনুল হকের পর লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরি পার্টনারশিপে সফরকারীরা আবারও ম্যাচে ফেরে।
অথচ শুরুতে স্কোয়াডেই ছিলেন না রিয়াদ। টেস্ট ফরম্যাটে উপেক্ষিত ছিলেন তিনি। হুট করেই টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তাকে। আর নির্বাচকদের সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক হয়েছে তার প্রমাণ রিয়াদ দিলেন ব্যাট দিয়ে।
১৬ মাস পর টেস্ট দলে সুযোগ পেয়ে এর পূর্ণ ব্যবহারই করছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যার সুবাদে বাংলাদেশ দলও পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পেয়েছে।
বুধবার প্রথমদিনে মুজারাবানি ও গারাভার তোপে মাত্র ১৩২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ।
সেখান থেকে লিটন-রিয়াদের পার্টনারশিপ দলকে সম্মানজনক অবস্থায় এনে দাঁড় করায়।
বাংলাদেশের সংগ্রহ এখন ৮ উইকেটে ২৯৪ রান।
এই সংগ্রহে বড় অবদান মাত্র তিনজনের। মুমিনুলের ৭০ রানের পর দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন লিটন।
মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। ১৩ বাউন্ডারিতে ৯৫ রান করে তিরিপানোর শিকারে পরিণত হন।
তবে মাহমুদউল্লাহ ৫৪ রানে অপরাজিত আছেন। তিনিই এখন আশার প্রতীক। দলকে ৩০০ ছাড়িয়ে কতদূর নিয়ে যায় মাহমুদউল্লাহর ব্যাট সেটাই দেখার বিষয়।
সেজন্য অবশ্য অপরপ্রান্ত ধরে রাখতে হবে তাসকিন আহমেদকে। স্পেশালিস্ট বোলার হয়ে তিনি তা কতটুকু পারবেন সে নিয়ে শঙ্কা আছে। এখন পর্যন্ত তার অবদান প্রশংসনীয়।
দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ১৫ বলে ১৩ রান করে ফেলেছেন। আজ রিয়াদকে কত সময় সঙ্গ দিতে পারেন তাসকিন সেটাই ভাবাচ্ছে কোচ ডমিঙ্গোকে।
বাংলাদেশ দলের নতুন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্সও তাকিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দিকে।
বুধবার ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা শেষে প্রিন্স বলেছেন, ‘মাহমুদউল্লাহ সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ একটা ইনিংস খেলেছে। ইনিংসের ঐ সময়টায় আমাদের অভিজ্ঞতার দরকার ছিল, সে সঠিক ব্যাক্তি হিসেবে অভাবটা পূরণ করেছে। যে কারণে লিটন তখন চাপমুক্ত ইনিংস খেলতে পেরেছে। তারা একে অপরকে রান করার ব্যাপারে সহযোগিতা করেছে। এখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে, যত বেশি সম্ভব রান করা।’