রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার টিকটক হৃদয় বাবুর অন্যতম সহযোগী ‘হিরো অনিক গ্রুপের’ চার সদস্যকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আসামিরা হচ্ছে, মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে অ্যাম্পুল (৩৪), আবির আহমেদ রাকিব (২২), মো. সোহাগ হোসেন আরিফ (৩৬) ও হিরা (২২)।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিন হাতিরঝিল থানার ডাকাতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একদিনের রিমান্ড শেষে চার আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এরপর মামলা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত তাদের প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে হিরো অনিকের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় অনিকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে রবিবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগাজিন, ৫টি ধারালো অস্ত্র, ১টি চেইন, ৩০০ পিস ইয়াবা, ৭টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩ হাজার ৪০০ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাবের লিগাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেফতারকৃত অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিক মগবাজার, হাতিরঝিল ও আশপাশের এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং মাদক সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা। বর্তমানে তার নামে হত্যা, মাদক ও অস্ত্র, ডাকাতিসহ ৯টি মামলা রয়েছে। অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিক মাদক ডেলিভারির কাজ করতো। তার গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ২০-২৫ জন। সে ২০১৬ সালে আলোচিত ‘আরিফ হত্যা’ মামলার মাধ্যমে পরিচিতি পায়। তার এই সংঘবদ্ধ দল মগবাজার, মধুবাগ, মীরবাগ, নতুন রাস্তা পেয়ারাবাগ, চেয়ারম্যান গলি, আমবাগান ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক সিন্ডিকেট ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে সে ও তার দল হাতিরঝিলে আসা দর্শনার্থীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো। হাতিরঝিল এলাকা দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় টিকটিক গ্রুপের কার্যকলাপ সে নিয়ন্ত্রণ করতো। টিকটক হৃদয়ের অন্যতম সহযোগী সে।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে অ্যাম্পুলের নামে মাদক এবং চুরির ৬টি মামলা রয়েছে। আবির আহমেদ রাকিবের নামে ২টি, মো. সোহাগ হোসেন আরিফের নামে নারী ও শিশু অপহরণ, মাদক এবং ডাকাতির ৩টি মামলা রয়েছে। হিরার নামে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর আঘাত এবং চুরির ১টি মামলা রয়েছে।