কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। ফলে কিছু ভ্রমণকারীর জন্য কোয়ারেন্টিন বিধিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আকাশপথে ভ্রমণকারীদেরকেও এখন থেকে আর সরকার অনুমোদিত হোটেলে তিন দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করতে হচ্ছে না।
তবে কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি বলছে, কিছু ভ্রমণকারীর জন্য কোয়ারেন্টিন বিধিতে পরিবর্তন এলেও সীমান্ত অতিক্রম করতে যে যোগ্যতার কথা বলা আছে তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। যাত্রার আগে ভ্রমণকারীদের অবশ্যই অ্যারাইভক্যান অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে লগ ইন করে ভ্যাকসিনেশনের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে হবে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ তিনদিন আগে কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়ার প্রমাণও দেখাতে হবে।
অন্যদিকে, অন্টারিও প্রদেশ গত বুধবার রিওপেনিং পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করেছে। এই ধাপে ইনডোরে সর্বোচ্চ পাঁচজনের জমায়েতের পাশাপাশি ধারণ ক্ষমতার সীমিত ব্যবহার করে কিছু খুচরা ব্যবসা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পরিচালনার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে অন্যান্য প্রবেশে এতোটা সতর্কতা অবলম্বন করছে না।
এদিকে, আলবার্টায় ১ জুলাই থেকে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি প্রত্যাহার করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৭০% নাগরিককে টিকা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করার পাশাপাশি ধারণক্ষমতার পুরোপুরি ব্যবহার করে রেস্তোরাঁ, বার ও খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র খুলে দিয়েছে। কানাডার জনস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, দুইটি টিকা সম্পন্ন গ্রহণকারীরা এখন আলিঙ্গন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, টরন্টোর ৭৭ শতাংশের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন। উভয় ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন নগরীর ৪৫ শতাংশের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক।
ক্যালগেরির এবিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড. মো.বাতেন বলেন, প্রচুর সংখ্যক লোকের ভ্যাকসিন নেয়ায় করোনা অনেক কমে গেছে। করোনা মহামারীর শুরু থেকেই কানাডা সরকারের দূঢ় পদক্ষেপ আর ভূমিকার ভূয়সি প্রশংসা করেন তিনি।
বিশিষ্ট কলামিস্ট উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, 'আলবার্টার ক্যালগেরিতে প্রচুর সংখ্যক লোকের উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে যেন ক্যালগেরি তার আগের রূপ ফিরে পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকুক, সারাবিশ্ব এই মহামারি থেকে মুক্তি পাক, এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
আলবার্টা প্রদেশে স্বাস্থ্যবিধি প্রত্যাহার করায় নাগরিকদের মধ্যে যেন স্বস্তি ফিরে এসেছে। "কাউবয়" খ্যাত ক্যালগেরি শহর এখন প্রাণের মেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। আজ থেকে শুরু হয়েছে বিশ্বখ্যাত স্টাম্পমিড ফেস্টিভ্যাল। অন্যান্য প্রদেশের লোকেরাও এখন কানাডার অভ্যন্তরে ভ্রমণ বাড়িয়ে দিয়েছে।