সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই অসহায় ছোট্ট মরিয়মের পাশে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ব্যক্তিগতভাবে মরিয়মের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেছেন।
শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে আর্থিক সহায়তার নগদ টাকা মরিয়মের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন নওগাঁর পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান মিয়া। এসময় তিনি ওই পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
পুলিশ সুপার জানান, ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম, জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন ব্যক্তি মরিয়মের পরিবারকে সহায়তা প্রদান করছেন। আগামীতেও পুলিশ পরিবারটির সহযোগিতায় পাশে থাকবে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিজের চোখের সামনে বাবার মৃত্যু দেখে কেঁদে ওঠে অবুঝ শিশু মরিয়ম। বাবার লাশের পাশে তার কান্নার ভিডিও নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।
গত শনিবার চকবিষ্ণুপুর গ্রামের ফজর বিশ্বাসের ছেলে মজিবুর রহমানের শ্বাসকষ্ট আর জ্বর হলে সাপাহার উপজেলায় ডা. হামিদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যান। ওইদিন রাত ৯টায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে পোরশা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মজিবুর রহমানের অবস্থার অবনতি হলে পর দিন রবিবার সকাল ৮টায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার পরিবারের লোকজন। বেলা সাড়ে ১১টায় চিকিৎসার আগেই মৃত্যু হয় মজিবুরের। এসময় হাসপাতালের বারান্দায় বাবার মৃতদেহের পাশে বসে কাঁদছিল তার কন্যা শিশু মরিয়ম। বাবার লাশের পাশে ছোট মেয়ে মরিয়মের কান্নার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।