ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
হারারে টেস্ট জিততে ৭ উইকেট চাই বাংলাদেশের
Published : Saturday, 10 July, 2021 at 9:10 PM
হারারে টেস্ট জিততে ৭ উইকেট চাই বাংলাদেশেরটেস্টে এমন দিন খুব কমই পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই ইনিংসে দাপট দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে বিশাল লক্ষ্যের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া- হারারে টেস্টে সেটিই করলো মুমিনুল বাহিনী। জিম্বাবুয়েকে ৪৭৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে ‍সুবিধাজনক অবস্থানে এখন সফরকারীরা। চতুর্থ দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪০ রান!

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা জিম্বাবুয়ে কেঁপে ওঠে ষষ্ঠ ওভারেই! ভালো লেন্থের বল দিয়েই ওপেনার মিল্টন শুম্বাকে ফাঁদে ফেলেন তাসকিন আহমেদ। খোঁচা মারতে গিয়ে সরাসরি জমা পড়েন স্লিপে। শুম্বা বিদায় নেন ১১ রানে। এর পর ওপেনার কাইতানো ধীরে চলো নীতিতে থাকলেও টেলর থাকেন আগ্রাসী ভঙ্গিমায়। এই সময়ে আবার উইকেট তুলে নেওয়ার সুযোগও তৈরি হয়েছিল। ২১তম ওভারে মেহেদী মিরাজের বলে টপ এজে ক্যাচ উঠেছিল কাইতানোর। কিন্তু শর্ট ফাইনে থাকা ইবাদত সহজ সেই ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছেন!

এর পর অবশ্য ভুল করে বসেন টেলর। সেঞ্চুরির কাছে থাকলেও ৮ রান দূরে থাকতে মিরাজের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি! তাতে স্বস্তিও ফেরে বাংলাদেশ শিবিরে।

টেলর ৭৩ বল খেলে ৯২ রানে ফিরলে কাইতানো বলের পর বল খেলে ক্রিজে জমে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ১০২ বল খেলা সেই কাইতানোকেই ৭ রানে ফিরিয়েছেন সাকিব। ক্রিজে আছেন ডিয়োন মায়ার্স (১৮) ও ডোনাল্ড তিরিপানো (৭)। ফলে শেষ দিনে জয়ের জন্য আর ৭ উইকেট প্রয়োজন সফরকারীদের।

এর আগে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে রান উৎসব করে ১ উইকেটে ২৮৪ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। তাতে ৪৭৬ রানের লিড পেয়ে জিম্বাবুয়েকে জয়ের জন্য ৪৭৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় মুমিনুল বাহিনী। প্রথমবার এবারই কোনও প্রতিপক্ষকে এত বিশাল লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ।

অবশ্য বিশাল লক্ষ্যের জন্য পুরো কৃতিত্ব সাদমান ইসলাম ও নাজমুল শান্তর। শনিবার সকালের শুরুটা দারুণ করলেও সেটা স্থায়ী হয়নি বেশি। সাদমান ইসলামের সঙ্গে জুটি দাঁড় করিয়ে নিয়েছিলেন আরেক ওপেনার সাইফ। কিন্তু বেশিদূর যাওয়া হয়নি সাইফের। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ রানে আউট হয়েছেন তিনি।

এর পরই রান উৎসবে যোগ দেন সাদমান ও শান্ত।তাদের ব্যাটে বড় লিডের পথে এগোতে থাকে সফরকারীরা। দাপট দেখাতে দেখাতে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখাও পেয়ে যান সাদমান। অপরাজিত থাকেন ১১৫ রানে। সঙ্গী নাজমুল শান্তও তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। তিনি অপরাজিত থাকেন ১১১ রানে। তার সেঞ্চুরির পরই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।

১৯৬ রানের জুটি গড়া সাদমান-শান্ত পুরোটা সময়ই প্রভাব বিস্তার করে খেলেছেন। সাদমানের ১৯৬ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার। শান্ত ছিলেন ওয়ানডে মেজাজী। ১১৮ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৬টি ছয়!