ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
করোনা রোগীদের ২৪ ঘন্টা সেবাদানে ‘পাশে আছি কোভিড-১৯ সেবা’ টিম
Published : Sunday, 11 July, 2021 at 12:00 AM
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ
দেবীদ্বারে ডাঃ ফেরদৌস খন্দকারের সহযোগিতায় “পাশে আছি কোভিড-১৯ সেবা” কার্যক্রম পরিচালনায় ‘কোভিড-১৯ কন্ট্রোল রোম’র উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৫টায় দেবীদ্বার পৌর এলাকার পোষ্ট অফিস পাড়া ‘গ্রীণ হাউজ’র চতুর্থতলায় ওই ‘কোভিড-১৯ কন্ট্রোল রোম’র উদ্বোধন করেন উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথি সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার।
উদ্বোধনী সভায় সেচ্ছাসেবীদের ‘কোভিড-১৯ রোগীদের সেবাদানে প্রয়োজনীয় করনীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ‘কোভিড-১৯ কন্ট্রোল রোম’র ইনচার্জ নারী নেত্রী শাহীনূর আক্তার লিপির সভাপতিত্বে এবং সংগঠক মোঃ মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় উক্ত কর্মশালায় আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, সমন্বয়ক কাউছার হায়দার, আব্দুর রহমান ভূঁইয়া, মিতা চৌধূরী, রীমা আক্তার, বাংলাদেশ শিক্ষাসেবা ফাউন্ডেশনের দেবীদ্বার উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ মাহববুর রহমান প্রমুখ।  
আলোচকরা করোনাকালে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে প্রতিটি রোগীকে নিজ পরিবারের সদস্য মনে করে প্রয়োজনীয় এ্যাম্বুলেন্সসেবা সহ অক্সিজেন, ঔষধ, পুষ্টিকর ফলফলাদী, দুস্থ রোগির পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ এবং জরুরী প্রয়োজনে চিকিৎসক টিমের পরামর্শদানে আলোকপাত করেন।
আলোচনা শেষে রাতের দায়িত্ব পালনকারী স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা করোনা রোগীদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সিলিন্ডার, ঔষধ, পুষ্টিকর ফলফলাদী, দুস্থ রোগির পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
একই সাথে প্রতিদিনের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অসহায় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ২০জন করে ৩২০জনের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে আমেরিকা প্রবাসী ডাঃ ফেরদৌস খন্দকারের স্বেচ্ছাসেবী করোনা যোদ্ধারা রাতে- দিনে বাড়ি বাড়ি ঘুরে নিরলস সেবাদানে এক অভূতপূর্ব অবদান রেখে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত এক জুলাই থেকে একদল তরুণ চিকিৎসক ও একদল সেচ্ছাসেবী এ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী ঔষধ, মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার, পিপিই, খাদ্য, মৌসুমী ফল ফলাদীসহ রাতদিন ২৪ ঘন্টা বিনামূল্যে করোনা রোগীদের সেবায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
উপজেলার দূর্গম এলাকাসহ যেখানেই করোনায় আক্রান্ত রোগীদের খোঁজ পাচ্ছেন সেখানেই সেবা দিচ্ছেন। করোনা রোগীদের উপজেলা সদরে আনার-নেয়ার প্রয়োজনে সার্বক্ষনিক দায়িেেত্ব রয়েছে এ্যাম্বুলেন্সসেবা। এছাড়াও জরুরী প্রয়োজনে নন কোভিড রোগীরাও এসেবা কার্যক্রমের সহযোগিতা পাচ্ছেন।