নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে নোয়াখালী কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন ছয়জন।
সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৩৬ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যা এযাবতকালে জেলার সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে সংক্রমণ বেড়েছে কয়েকগুণ, বেড়ে চলছে মৃত্যুও। নতুন শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এদিকে চলমান বিধিনিষেধ অমান্য করায় ৮৫ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা গেছে, যতই লকডাউনের সময় বাড়ছে নোয়াখালীতে লকডাউন ততটাই ঢিলেঢালা হয়ে পড়ছে। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকলেও আগের তুলনায় কয়েকগুণ যানবাহন বেড়েছে বিভিন্ন সড়কে।
তবে পুলিশের তল্লাশিতে কিছুটা ফাঁকা রয়েছে পৌর এলাকার সড়কগুলো, তাতেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন এবং মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। হাঁটবাজার, কাঁচাবাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিতি লক্ষণীয়। স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বেশিরভাগ মানুষ। গ্রামের বাজারগুলোর বেশিরভাগ দোকানপাট খোলা রয়েছে। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলের পাশাপাশি জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট।
লকডাউন অমান্য করায় রোববার দিনব্যাপী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৮৫ মামলায় ৮৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার ও কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. নিরুপম দাশ।
রোববার সকালে ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার তিনটি পিসিআর ল্যাবে ৬৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৩৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে সদরে ৮০, সুবর্ণচরে সাত, হাতিয়ায় চার, বেগমগঞ্জে ৪৩, সোনাইমুড়ীতে সাত, চাটখিলে সাত, সেনবাগে ২৪, কোম্পানীগঞ্জে ৩৭ ও কবিরহাটে ২৭ রোগী রয়েছে। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৭২২ জন। যার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৮৭০ রোগী।
আইসোলেশনে রয়েছেন চার হাজার ৫৯৪ জন। শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৪ রোগী।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলম খান জানান, লকডাউন কার্যকর করতে ও জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করতে জেলার বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮৫টি মামলায় জরিমানা করা হয়েছে।