তেহরানে নিযুক্ত স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইরান। ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থা-বিরোধী গোষ্ঠী মুজাহেদিনে খালক বা এমকেও’র সম্মেলনে স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জ্যানেজ জ্যানসার অংশগ্রহণ করার প্রতিবাদে ওই রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমধ্যসাগর ও পূর্ব ইউরোপ বিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তরে তলব করে স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিনা র্যাডির কাছে একটি প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করে প্রতিবাদের কথা জানিয়ে দেয়া হয়।
প্রতিবাদলিপিতে এমকেওর সম্মেলনে ইরানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে সেগুলোকে ভিত্তিহীন হিসেবে প্রত্যাখ্যান করা হয়।
র্যাডিকে জানিয়ে দেয়া হয় যে, স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এমন একটি গোষ্ঠীর বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেছেন যে গোষ্ঠীকে ইরানের জনগণ ঘৃণা করে। এছাড়া তিনি ওই বৈঠকে যেসব অবাস্তব ও ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলেছেন, সেগুলো কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও দ্বিপক্ষীয় বন্ধুসুলভ সম্পর্কের পরিপন্থি। এ ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য স্লোভিনিয়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।
এ সময় ইরানের এ প্রতিবাদের কথা দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্লোভেনিয়া সরকারকে জানাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন দেশটির রাষ্ট্রদূত।
এদিকে, স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের প্রতিবাদ জানানোর জন্য রবিবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেলকে ফোন করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি জ্যানসা’র অগ্রহণযোগ্য বক্তব্যের ব্যাখ্যা দাবি করার পাশাপাশি তার বক্তব্যের ব্যাপারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য ইইউ’র প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় স্লোভেনিয়ার সরকার প্রধানের বক্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তার এ বক্তব্যে ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইইউ’র আনুষ্ঠানিক অবস্থান প্রতিফলিত হয়নি।
শনিবার আলবেনিয়ায় এমকেও গোষ্ঠীর একটি ক্যাম্পে ইরানবিরোধী বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের কয়েকজন আইনপ্রণেতা বক্তব্য রাখেন। স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই বৈঠকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। এসব বক্তব্যে ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে মারাত্মক আক্রমণ করে কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।