গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৬৮ জন। এটি এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। তাদের নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে মোট শনাক্ত হলেন ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৭ জন। এর আগে রবিবার (১১ জুলাই) শনাক্ত হয়েছিলেন ১১ হাজার ৮৭৪ জন; যা গতকাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল। গত ৮ জুলাই সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৯১ জনের শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২০ জন। এ নিয়ে সরকারি হিসাবে মোট মারা গেলেন ১৬ হাজার ৬৩৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ২০ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে মোট সুস্থ হলেন আট লাখ ৮১ হাজার ৫২১ জন।
সোমবার (১২ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ২৩ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে মহামারিকালের সর্বোচ্চ। নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৬ হাজার ৪৫টি আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৭টি। দেশে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭০ লাখ ১৫ হাজার ২৩৪টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৫১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮০ টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৪টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪২ জন, আর নারী ৭৮ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট পুরুষ মারা গেছেন ১১ হাজার ৬৫০ জন এবং নারী মারা গেছেন চার হাজার ৯৮৯ জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১২১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৬ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৯ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, মারা যাওয়া ২২০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৬৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগের ২৩ জন, খুলনা বিভাগের ৫৫ জন, বরিশাল বিভাগের চার জন, সিলেট বিভাগের ছয় জন, রংপুর বিভাগের ১৮ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন ১৩ জন।
তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪০ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন ১৩ জন।