একজন গোলকিপারের যেমন নায়ক হতে সময় লাগে না, তেমনি ভিলেন বনে যেতে পারেন চোখের পলকে। দুর্দান্ত সেভে যেমন বাহবা পান, তেমনি গোল হজম করলে শুনতে হয় দুয়ো। ইতালি গোলকিপার জিয়ালুইজি দোন্নারুম্মার ইউরো শেষ হওয়ার পর কী অবস্থা? কোনও সন্দেহ ছাড়া বলে দেওয়া যায়, ইতালি তো বটেই গোটা ফুটবল বিশ্বের চোখে এখন নায়ক তিনি। টানা দুই ম্যাচে টাইব্রেকারে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সে ইতালিকে ইউরোর হাসি এনে দেওয়া সঙ্গে নিজেও জিতেছেন সেরার পুরস্কার।
গোল্ডেন বল:
এবারের ইউরোর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল জিতেছেন দোন্নারুম্মা। ইতালির শিরোপা জেতার পথে তার অবদান যে সবচেয়ে বেশি, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেমিফাইনালে স্পেনের বিপক্ষ আজ্জুরিদের জয় এনে দেওয়ার পর ওয়েম্বলির ফাইনালে ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়েছেন দুটি দারুণ পেনাল্টি সেভে। উয়েফার রায়ে ইউরোর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন এই গোলকিপার।
গোল্ডেন বুট:
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর ইউরোতে নেমেছিলেন শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। কিন্তু শেষ ষোলোতেই থেমে যায় তার দল পর্তুগালের যাত্রা। তবে তার আগেই জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড ৪ ম্যাচে করেন ৫ গোল। শিরোপা জিততে না পারলেও জাতীয় দলের জার্সিতে ঠিকই জিতেছেন গোল্ডেন বুট। চেক প্রজাতন্ত্রের পাত্রিক শিকের তার সমান গোল হলেও অ্যাসিস্টে এগিয়ে থাকায় গোল্ডেন বুট জিতেছেন রোনালদো।
সিলভার বুট:
রোনালদোর সমান ৫ গোল করেও গোল্ডেন বুট জেতা হয়নি শিকের। চেক ফরোয়ার্ড ৫ ম্যাচে ৫ গোল করলেও ছিল না কোনও অ্যাসিস্ট। রোনালদো সতীর্থকে দিয়ে এক গোল করায় শিককে সিলভার বুট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
ব্রোঞ্জ বুট:
রোনালদো ও শিক ৫ গোল করে করেছেন। তাদের পর ৪ গোল করা খেলোয়াড় ছিলেন চারজন। এরা হলেন- এমিল ফরসবার্গ, করিম বেনজেমা, হ্যারি কেইন ও রোমেলু লুকাকু। তাদের মধ্যে থেকে সেরা বেছে নিতে উয়েফা দেখেছে, সবচেয়ে কম সময় মাঠে ছিলেন কোন খেলোয়াড়। এই বিচারে সবচেয়ে কম সময় মাঠে থেকে ৪ গোল করার ব্রোঞ্জ বুট জিতেছেন ফ্রান্সের বেনজেমা।
উদীয়মান খেলোয়াড়:
সেমিফাইনালে ভাগ্য সহায় হয়নি স্পেনের। ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হারতে হয় তাদের। ফাইনালে খেলতে না পারলেও তাদের তরুণ মিডফিল্ডার পেদ্রি আলো ছড়িয়েছেন। বার্সেলোনার জার্সিতে প্রমাণের পর জাতীয় দলের জার্সিতেও নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন তিনি। দারুণ পারফরম্যান্সে এই মিডফিল্ডার নির্বাচিত হয়েছেন এবারের ইউরোর উদীয়মান খেলোয়াড়।