Published : Tuesday, 13 July, 2021 at 12:00 AM, Update: 13.07.2021 12:04:25 AM
শাহীন আলম, দেবিদ্বার।
হানিফ মুন্সি গত ১৫ বছর ধরে নিজের ৩৫ শতক জমিতে চাষ করছেন দেশীয় জাতের শসা। শসা ছাড়াও হানিফ ২৫ শতক জমিতে ঢেঁড়স, লাউ, চাল কুমড়া, ঝিঙ্গা, কড়লাসহ অন্যান্য সবজি চাষ করছেন। সংসারে অভাব-অনটন না থাকলেও শখের বসেই শসা চাষ করছেন তিনি।
হানিফ মুন্সি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বারেরা গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ছিলেন প্রবাসে। প্রবাস থেকে ফিরে ব্যবসা বা অন্যকাজে না ঝুঁকে নিজেই নিজের জমিতে শুরু করেছেন শসা চাষ। এতে তিনি লাভবানও হয়েছেন অনেক। পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের সবজির চাহিদা পূরণ করে বিক্রি করছেন স্থানীয় বাজারেও। এ বছর ৩৫ শতকে জমিতে প্রায় ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ মণ শসা ধরছে। প্রতি মণ শসা ২৬শ’ থেকে ২৮শ’ টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি।
শনিবার দুপুরে আবু হানিফের শসা ক্ষেতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি গাছে থরে থরে ঝুঁলছে সবুজ বর্ণের দেশীয় জাতের শসা। ক্ষেতের এক পাশে আবু হানিফ তার ছেলে নাজমুলকে নিয়ে ক্ষেতের বালাই দমনের ওষুধ ছিঁটাচ্ছেন। এ প্রতিবেদকে তিনি বলেন, কিছু গাছ মরে যাচ্ছে, পাতায় হলুদ রঙ চলে এসেছে। গাছের শাখা প্রশাখাগুলোও নুঁয়ে পড়েছে। তাই কিটনাশক ছিঁটাচ্ছি। এছাড়াও গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি জমে গাছের গোঁড়া ডুবে যাওয়ায় কিছু গাছে পচন ধরেছে। মেশিনের সাহায্যে সেঁচের ব্যবস্থা রেখেছি। এমন আর কোন বছর হয়নি। তবে এরপরও এবার ভালো ফলন ও দাম পাওয়া গেছে।
কৃষক হানিফ মুন্সি আরও বলেন, শখের বসে শসা চাষ করছি। তিন ছেলে প্রবাসে থাকে। আমিও দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। সংসারে অভাব-অনটন নেই। চাষবাস করা আমার শখ। নিজের জমিতে বিষমুক্ত সবজি নিজেও খাই আত্মীয় স্বজনদের বাড়িও পাঠাই।
তিনি আরও বলেন, বীজ, সার, কীটনাশক আর পরিচর্যার মজুরি মিলিয়ে খরচ পড়েছে ১০/১২ হাজার টাকা। বীজ লাগানোর দেড় মাসের মধ্যেই শসা গাছে ফলন ধরে। জ্যৈষ্ঠের শুরু থেকে আষাঢ়ের এ পর্যন্ত শসা বিক্রি করে প্রায় লাখ টাকা আয় হয়েছে। ভাদ্র মাসেও আরও কিছু শসা বিক্রি হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুর রউফ বলেন, বৃষ্টির পানি জমে থাকলে গাছের গোড়ায় পচন ধরে। ছত্রাকনাশক ওষুধ ব্যবহার করলে অনেকটা উপকারে আসবে। আবু হানিফ কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হবে।