করোনাকালে প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা কোটি মায়ের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গেছে। সব মিলে ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা নগদ-এর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। করোনার এ দুঃসময়ে সামান্য এই অর্থও অনেক পরিবারে খানিকটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে বলে জানান উপকারভোগীরা।
জানা গেছে, নানা কারণে অনেক দিন আটকে ছিল সরকারের উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রম। তবে গত বছর ডিসেম্বরে দ্রুততার সঙ্গে দেড় কোটি শিক্ষার্থী আর তার পরিবারের তথ্য সম্বলিত ডেটাবেজ তৈরী করা হয়। সেটি ব্যবহার করেই গত মার্চ থেকে উপবৃত্তি পৌঁছে যেতে শুরু করে কোটি মায়ের নগদ অ্যাকাউন্টে, সেই সঙ্গে ফিরে আসতে থাকে আনন্দের হাসিও।
একে একে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকসহ ২০২০-২১ অর্থ বছরের চারটি প্রান্তিকের উপবৃত্তি বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে আবার শিক্ষার্থী প্রতি এক হাজার টাকা করে শিক্ষা উপকরণও বিতরণ করা হয়। নগদ-এর মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণ করায় স্বচ্ছতা যেমন নিশ্চিত হয়েছে তেমনি সরকারের বিতরণ খরচ প্রায় ৭০ শতাংশ কমেছে।
আধুনিক এই পদ্ধতি প্রবর্তণ বিষয় নগদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, দেশের মানুষকে সবচেয়ে সহজে সেবা বিতরণের অঙ্গীকার নিয়ে নগদ যাত্রা শুরু করে। সেই উদ্দেশ্য মাথায় রেখেই গোটা কাজটা করা হয়েছে।