এবার পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিং দখল করেছে তালেবান। বুধবার সকালে গুরুত্বপূর্ণ এই ট্রানজিটে থাকা আফগানিস্তানের সরকারি সেনারা তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করে। আল জাজিরা।
গত সপ্তাহে তালেবান যোদ্ধারা তাজিকিস্তান ও ইরানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্ত দখলে নেয়।
খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের স্পিন-বলদাক সীমান্ত তালেবানের জন্য কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সীমান্ত সরাসরি পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের সঙ্গে সংযুক্ত। এই বেলুচিস্তান প্রদেশেই তালেবানের শীর্ষ নেতারা দীর্ঘদিন অবস্থান করছিলেন। এখানে তালেবানের অনেক যোদ্ধা রয়েছে যারা প্রায়ই আফগানিস্তানে ঢুকে তালেবান সদস্যদের সহায়তা করে।
রয়টার্স বলছে, পরিকল্পনা অনযায়ী তালেবান যোদ্ধারা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে থাকা আফগানিস্তানের সীমান্ত ক্রসিং ও চেক পোস্টগুলো দখলে নিচ্ছে। কারণ সীমান্ত ক্রসিং ও চেক পোস্টগুলো থেকে তাদের বড় অংকের রাজস্ব আদায় হবে, যার কোনোটিই আফগান সরকারের কোষাগারে যাবে না।
পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বলছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে তারা স্পিন-বলদাক সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছেন।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের স্থানীয় প্রশাসক আরিফ কাকার আল জাজিরাকে বলেন, এই সীমান্তের কোনো জায়গায় সরকারি বাহিনীর উপস্থিতি নেই; সব জায়গায় তালেবানের উপস্থিতি। যদিও আফগান সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তালেবান যোদ্ধারা পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত দখল নিতে আক্রমণ করেছিল কিন্তু তারা প্রতিহত করেছেন।
স্থানীয় একজন প্রত্যক্ষদর্শী আল জাজিরাকে একটি ভিডিও দেখান সেখানে দেখা যায়, স্পিন-বলদাক সীমান্তে সরকারি বাহিনীর পতাকা সরিয়ে তালেবানে সাদা পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে নিরুদ্বেগ তালেবান সদ্যদের দেখা গেছে।
সীমান্তে বসবাসকারী রাজ মোহাম্মদ নামে একজন দোকানদার বলেন, আমি সকালে বাজারে গিয়ে দেখি সব জায়গায় তালেবান সদস্যরা ঘুরছে। পুলিশ সদর দপ্তরেও তাদেরকে দেখা গেছে। পাশেই গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।