চট্টগ্রামে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হবে মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালটির সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পরিদর্শন করেন সরকারি একটি টিম। এ টিমে ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিুনুর রহমান ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এর আগে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে করোনা রোগী চিকিৎসায় শয্যা বাড়াতে চিঠি দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
জানা যায়, বর্তমানে মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড রোগীর চিকিৎসায় ৪০ শয্যা, ৬টি আইসিইউ শয্যা এবং ১২টি এইচডিইউ শয্যা আছে। তবে পর্যবেক্ষণ দল পুরো হাসপাতালটিকে কোভিড ডেডিকেটেড করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেছেন। একই টিম পাশের সাউর্দান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও যায়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘পরিদর্শনে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে তাদের ৬টি আইসিইউ আছে, তা দ্রুত সময়ের মধ্যে ১২টি এবং ১২টি এইচডিইউকে ২৪টিতে উন্নীত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে সাধারণ শয্যাও আরও বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে হাসপাতালের যদি কোনো চাহিদা থাকে, তাও আগামী শনিবারের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে। আমরা তাদের এ বিষয়ে সহযোগিতা করব।’
জানা যায়, গত বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর চট্টগ্রামের ৫টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোকে করোনা ডেডিকেটেড শয্যা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। বর্তমানে চট্টগ্রামে সরকারি বেসরকারি মিলে কোভিড ডেডিকেটেড শয্যা আছে ১৬০০। এর মধ্যে সরকারি ৯৫০ ও বেসরকারি ৬৫০। কিন্তু এসব হাসপাতাল রোগীর চাপ নিতে পারছে না। এ কারণে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে কোভিড ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা বাড়াতে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ।
একই সঙ্গে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকেও করোনা ডেডিকেটেড শয্যা বাড়াতে বলা হয়। তবে তা অবশ্যই রোগীদের স্বল্পমূল্যে সেবাদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেই। বেসরকারি হাসপাতালগুলো হলো চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।