মানিক দাস ||
বৈশ্বিক মহামারী করোনার ভয়াবহতার কারণে সরকার কঠোর লকডাউন দিয়েছে। যার ফলে সসকল যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ১৭ দিন পর অন্যান্য গণপরিবহনের সাথে নৌপথে চলাচল শুরু করেছে যাত্রীবাহী লঞ্চ। গতকাল ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে। ১৭ দিন করোনার কঠোর লকডাউনে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার পর সরকার পবিত্র ঈদুল আজহার কারণে এক সপ্তাহের জন্য সকল পরিবহন চলাচলের জন্য চালু করেছে। সেজন্য চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে প্রথম দিনেই ভোর রাত থেকে যাত্রীর উপচে পরা ভিড়।
বন্দর ও বিআইডাব্লিউটিএ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের আয়োজন করলেও যাত্রীদের চাপে তা কেউ মানছে না। এসময় যাত্রীরা টার্মিনালে নিয়োজিত বন্দর কর্তৃপক্ষ ও লঞ্চ কর্মচারীদের সঙ্গে মারমুখী আচরণও করে। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোকে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট থেকে ছাড়তে বাধ্য করে কর্তৃপক্ষ। এদিকে, হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে যাতায়াত করা নিয়ে নানা অজুহাত তুলে ধরেন যাত্রীরা। অনেকেই বলেন, দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর এখন জীবিকার জন্য কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ চিকিৎসার জন্যও ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে।
বিআইডাব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক ও বন্দর কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম বলেন, ‘সবকিছু সামাল দিয়ে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রীদের লঞ্চে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ মধ্য রাত থেকে চাঁদপুর থেকে সকল রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেনো সকল যাত্রীবাহী লঞ্চ ঘাট ছাড়ে, তার জন্য আমি ঘাটে সর্বদা মনিটরিং করছি। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’