ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, তার দেশের সীমান্তের দিকে অন্য কোনও দেশ চোখ তুলে তাকাতে পারবে না। শনিবার বিএসএফের এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
অমিত শাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত দেশে কোনও আলাদা প্রতিরক্ষা নীতি ছিল না। তখন পররাষ্ট্র নীতির আলোকেই প্রতিরক্ষা নীতি নির্ধারিত হতো। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে। আর এখন ভারতের সীমান্তকে কেউ চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং রোবটের প্রয়োগের বিরুদ্ধে প্রস্তুত থাকতে হবে। বর্তমানে পাকিস্তানি জঙ্গিরা এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এটা শুধু ড্রোনের ব্যবহারে সীমাবদ্ধ নয়।’
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমি সেসব জওয়ানদের স্যালুট করি যারা আত্মবলিদান দিতে প্রস্তুত। এই বীর যোদ্ধাদের আমরা কখনও ভুলতে পারি না। বিএসএফ-এর জন্যই ভারত গর্বের সঙ্গে বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে রয়েছে।'
বছরখানেক আগে লাদাখে চীনা সেনারা ভারতীয় ভূখণ্ডের ঠিক কতটা ভেতরে ঢুকে পড়েছে, সেটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি দিল্লি। যদিও এ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক হয়নি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, চীনারা লাদাখে ঢুকে ভারতের জমি দখল করে নিলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিষয়টি নিয়ে কোনও কথা বলেননি। লাদাখে কোনও সমাধান না মিলতেই গত কয়েকদিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মিরের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি এবং সীমান্তে দেখা যাচ্ছে ড্রোন। এমন পরিস্থিতিতেই সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানান, সামগ্রিকভাব তিনি ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিন্ত।
তার ভাষায়, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতকে যে প্রতিরক্ষা নীতি দিয়েছেন, তার ফলে কোনও দেশ ভারতের সীমান্তের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারবে না।’ সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।