Published : Saturday, 17 July, 2021 at 12:00 AM, Update: 17.07.2021 1:03:57 AM
তানভীর
দিপু: লকডাউনের শিথিলতা আর করোনা সংকমণের ভয় নিয়েই শুরু হয়েছে পশুর হাট।
গতকাল থেকেই কুমিল্লা নগরীর ও শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় বসেছে বেশ কয়েকটি
হাঁট। গ্রামাঞ্চলের হাঁটের মত শহরের হাঁটগুলো জমে না উঠলেও- স্থানীয়রা হাটে
তুলেছেন গরু-ছাগল। বেঁচাকেনাও হচ্ছে টুকটাক। এদিকে প্রশাসনের কঠোর
নির্দেশনা দেয়া হয়েছে- পশুর হাটে প্রবেশের জন্য অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা
লাগবে। কুমিল্লা নগরীর হাটে গেলে যেতে হবে দুই মাস্ক পরে।
গতকাল বিকালে
কুমিল্লা নগরীর নেউরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাত্র শুরু হয়েছে হাট। ট্রাকে
করে এবং হাঁটিয়ে গুরু ছাগল নিয়ে আসছেন বেপারীরা। কেউ কেউ আবার ছাউনি এবং
মাটি বসাচ্ছেন গরু রাখার জন্য। শুরুর দিকে একটু কম ভিড় থাকলেও এই হাটেই
আসেন শহরের অনেক ক্রেতা। গতকাল বাজারে খুব বেশি গরু ছাগল না দেখা গেলেও,
দেখা গেছে মাঝারি-বড় সাইজের কিছু গরু। ছোট গরু যেগুলো এসেছে সেগুলোর দামও
বেশ চড়া।
গতকাল বাজারের সবচেয়ে বড় গরু ছিলো সুলতান এগ্রো ফার্মের
‘হামজা’। ওজন না জানালেও গরুর সাথে থাকা লোকজন জানালেন, দাম চাওয়া হচ্ছে ১১
লাখ। এই প্রথম বার গরুটিকে বাজারে তোলা হয়েছে।
একই সাথে সেখানে ছিলো
আরো কয়েকটি প্রায় একই সাইজের গরু। চান্দিনা থেকে গরু নিয়ে আসা বেপারী আমিন
জানান, গত দুই ধরে ৯টি গরু নিয়েই বাজারে বসা। একটিও বিক্রি হয় নি। বাজার
এখনো জমেনি বলে ক্রেতা কম হতে পারে। আশা করা যায়, দুয়েক দিনের মধ্যে বাজার
উঠবে।
এদিকে বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে বেশির ভাগকেই দেখা গেছে গরু-ছাগল
দেখে শুনে চলে যাচ্ছেন। পছন্দ হলেও অনেকে দামে না হওয়ায় ঘুরে ফিরেই চলে
যাচ্ছেন। চকবাজার থেকে আসা ক্রেতা রশিদ আহমেদ জানান, প্রতিবছর নেউরা বাজার
থেকেই গরু কেনা হয়। এবারো তাই আসা। গরু তেমন ওঠেনি, আরো দুয়েকদিন ঘুরে
কিনতে হবে।
বাজারের ইজারাদারদের একজন মোঃ আকবর জানান, আশা করা যায় আজ
থেকেই বাজার জমবে। বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ
করা হয়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে যেন সবাই মাস্ক ব্যবহার করে।