জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের ১৫৫ রানে হারিয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। ম্যাচে সাকিব একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট।
স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে নতুন এক তালিকায় যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ তালিকার ৮ম ক্রিকেটার হলেন সাকিব।
এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ৫২৬৯ ক্রিকেটার। কিন্তু রান এবং উইকেটের কম্বিনেশনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮ জন ইউনিক খেলোয়াড় আছেন, যারা বাকি ৫২৬১ জনের চেয়ে আলাদা। এই ৮ জন ক্রিকেটার ইউনিক বা অনন্য কারণ তাদের সঙ্গে রান এবং উইকেট দুটোতেই এগিয়ে থাকা কোনো ক্রিকেটার পাওয়া যাবে না।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের বর্তমান সংগ্রহ ১১৯৭৪ রান ও ৫৮১ উইকেট। সাকিবের চেয়ে বেশি রান রয়েছে ৬১ জনের। আবার সাকিবের চেয়ে বেশি উইকেট ২৪ জন বোলারের। কিন্তু যাদের রান সাকিবের চেয়ে বেশি তাদের উইকেট সাকিবের চেয়ে কম। আবার যাদের উইকেট সাকিবের চেয়ে বেশি, তাদের রান সাকিবের চেয়ে কম।
বিশ্বের ইউনিক ক্রিকেটার ৮ জন হলেন, শচিন টেন্ডুলকার, জ্যাক ক্যালিস, কপিল দেব, শন পোলক, ওয়াসিম আকরাম, শেন ওয়ার্ন ও মুত্তিয়া মুরালিধরন। এরা প্রত্যেকে রান-উইকেটের কম্বিনেশনে বিশ্বের যেকোনো ক্রিকেটারের চেয়ে এগিয়ে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ উইকেট নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের উইকেটসংখ্যা বাড়িয়ে ৫৮১’তে পরিণত করেছেন সাকিব। যার ফলে উইকেটসংখ্যায় ছাড়িয়ে গেছেন জ্যাক ক্যালিসকে (৫৭৭) এবং জায়গা পেয়ে গেছেন ইউনিক ক্রিকেটারের তালিকায়।
বিশ্বের ইউনিক ৮ ক্রিকেটারের তালিকা
১. শচিন টেন্ডুলকার (ভারত) : ৩৪৩৫৭ রান ও ২০১ উইকেট
২. জ্যাক ক্যালিস (দক্ষিণ আফ্রিকা) : ২৫৫৩৪ রান ও ৫৭৭ উইকেট
৩. সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ) : ১১৯৭৪ রান ও ৫৮১ উইকেট
৪. কপিল দেব (ভারত) : ৯০৩১ রান ও ৬৮৭ উইকেট
৫. শন পোলক (দক্ষিণ আফ্রিকা) : ৭৩৮৬ রান ও ৮২৯ উইকেট
৬. ওয়াসিম আকরাম (পাকিস্তান) : ৬৬১৫ রান ও ৯১৬ উইকেট
৭. শেন ওয়ার্ন (অস্ট্রেলিয়া) : ৪১৭২ রান ও ১০০১ উইকেট
৮. মুত্তিয়া মুরালিধরন (শ্রীলঙ্কা) : ১৯৩৬ রান ও ১৩৪৭ উইকেট
এদিকে, গতকাল ব্র্যান্ডন টেইলরকে আউট করার মধ্য দিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক হয়েছেন সাকিব। এতে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন সাকিব।
সাকিবের ওয়ানডেতে এটি ২৭০তম উইকেট। এতদিন রেকর্ডটি মাশরাফির (২৬৯) সঙ্গে ভাগাভাগি করেছিলেন সাকিব।
২৭০তম ওয়ানডে উইকেট তুলে নিতে ২১৩ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। মাশরাফি খেলেছেন ২১৮ ম্যাচ।