আতিকুর রহমান রকির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আরিফা খাতুনের। তবে তাদের এই সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকার করেন উভয়ের পরিবার। একপর্যায়ে পরিবারের অসম্মতিতেই বিয়ে করেন এই প্রেমিক জুটি। কিন্তু বিয়ের দুই মাসেও পরিবার তাদের এ বিয়ে মেনে না নেয়ায় আত্মহননের পরিকল্পনা করেন তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বামী আতিকুর রহমান বিষপান করেন আর স্ত্রী আরিফা খাতুন গলায় দড়ি দেন। স্ত্রী বেঁচে থাকলেও মারা গেছেন স্বামী।
শনিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের নাইশিমুল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের নাইশিমুল গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান রকির সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় নীলফামারী জেলা সদরের সোলায়মান আলীর মেয়ে আরিফা খাতুনের। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের এ সম্পর্ক মেনে নিতে উভয়ের পরিবার অস্বীকার করেন।
পরিবারের অসম্মতিতেই বিগত দুই মাস আগে বিয়ে করেন তারা। নানামুখী চেষ্টার পরও পরিবার তাদের বিয়ে মেনে না নেয়ায় শনিবার বিকেলে আতিকুর রহমান রকি নিজ বসতবাড়িতেই বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনাটি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এরই মধ্যে স্ত্রী আরিফা খাতুনও নিজ শোবার ঘরে তীরের সঙ্গে গলায় দড়ি দেন। পরে ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান পরিবারসহ আশপাশের লোকজন। ঘরের দরজা ভেঙে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় কারও বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।’