প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ব্যক্তিগত সহকারী ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার নাম ব্যবহার করে চাকরি ও বদলি করিয়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার গিয়াসউদ্দিন কবির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ শনিবার (১৭ জুলাই) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসীর আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান আসামি গিয়াসউদ্দিনকে রিমান্ড চলাকালে আদালতে হাজির করেন। এসময় আসামি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর আদালত আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত রবিবার (১১ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালত গিয়াসউদ্দিনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেদিন ভোরেই কুমিল্লা জেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ। এসময় তার কাছে থাকা মোবাইল ও সিম কার্ড জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে সিটিটিসি সাইবার অপরাধের তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির চাকরি বা বদলি করিয়ে দেবেন বলে টাকা দাবি করতেন গিয়াসউদ্দিন কবির। কেউ কথামতো টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি ভিকটিমকে ভয়ভীতি ও সামাজিকভাবে হেয় করার হুমকি দিতেন। এই চক্রটি কুমিল্লা জেলার অ্যাডভোকেট কামাল হোসেনের কাছ থেকে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় দিয়ে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন জেলা প্রশাসক এবং পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা, এমনকি বন ও পরিবেশমন্ত্রী কাছেও টাকা দাবি করেছে এই চক্রটি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত কবির অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।