জিতলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে টাইগারদের সিরিজ নিশ্চিত। হারলে সিরিজে ফিরবে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।
এমন সহজ সমীকরণের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৪১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনীতে ৩৯ রান করা বাংলাদেশ। এরপর মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে হারায় দুই ওপেনার তামিম ইকবাল-লিটন কুমার দাস ও চারে ব্যাটিংয়ে নামা মোহাম্মদ মিঠুনের উইকেট।
সিকান্দার রাজার দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ৯.৩ ওভারে দলীয় ৩৯ রানে ফেরেন অধিনায়ক তামিম। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শূন্য রানে আউট হওয়া তামিম এদিন ফেরেন ৩৪ বলে মাত্র ২০ রানে।
তামিম আউট হওয়ার মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে ফেরেন লিটন দাস। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জয়ে অবদান রাখা লিটন এদিন ফেরেন ৩৩ বলে ২১ রান করে।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১৯ রান করা মিঠুন, রোববার লুক জঙ্গুয়ার গতির বলে মাধেভেরের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাত্র ২ রানে সাজঘরে ফেরেন। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে দলীয় ৫০ রানে প্রথম সারির ৩ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল।
রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় খেলায় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে জিম্বাবুয়ে। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩৩ রানে তাসকিন আহমেদের গতি আর মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন দুই ওপেনার টিনাসি ও মারুমা।
এরপর রাগিস চাকাভাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করে যান অধিনায়ক ব্রান্ডন টেইলর। এই জুটিতে ৪৭ রান যোগ করতেই সাকিব আল হাসানের স্পিনে বোল্ড হয়ে ফেরেন চাকাভা। দলীয় ৮০ রানে ৩২ বলে ২৬ রান করে ফেরেন চাকাভা।
এরপর ৩১ রানের ব্যবধানে দলীয় ৪৬ রানে হিটআউট হয়ে ফেরেন টেইলর। ৫৯ বলে ৩৪ রান করে সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হন ডিওন মাইয়ার্স।
১৪৬ রানে প্রথমসারির ৫ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর সিকান্দার রাজাকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন ওয়েসলি মাধেভেরে। ষষ্ঠ উইকেটে তারা গড়েন ৬৩ রানের জুটি।
এরপর মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। শরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন জিম্বাবুয়ের তারকা ব্যাটসম্যান ওয়েসলি মাধেভেরে। তার ব্যাটে ভর করেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল স্বাগতিকরা।
শরিফুলের বলে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম ম্যাচে তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন মাধেভেরে। ৬৩ বলে ৫টি চার ও এক ছক্কার সাহায্যে করেন ৫৬ রান।
৭ বলে ৮ রান করে শরিফুলের তৃতীয় শিকার লুক জঙ্গুয়া। রানের খাতা খোলার আগেই শরিফুলের চতুর্থ শিকার ব্লেসিং মুজারাবানি।
রিচার্ড এনগারাভাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে যান টেন্ডাই চাতারা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করে জিম্বাবুয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে: ৫০ ওভারে ২৪০/৯ (মাধেভেরে ৫৬, টেইলর ৪৬, মাইয়ার্স ৩৪, সিকান্দার রাজা ৩০; শরিফুল ৪/৩৪, সাকিব ২/৪২)।