ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ১০৪ কিলোমিটার অংশে কোথাও কোন যানজট নেই। তবে ঈদুল আজহা যত ঘনিয়ে আসছে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ধীরে ধীরে বাড়ছে। সামনে ঈদকে ঘিরে কর্মস্থল থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করায় মাহসড়কে যাত্রীবাহী পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মহাসড়কে পণ্যবাহী ও কোরবানির পশুবাহী গাড়ির সংখ্যাও। গত শুক্রবার কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোলপ্লাজায় হামলা জট এবং মহাসড়কে দিনব্যাপী যানবাহনের ধীরগতি থাকলেও শনিবার থেকে রবিবার ১১টা পর্যন্ত মহাসড়কে যানবহনের ধীরগতি বা কোন জট নেই। যানজট মুক্ত পরিবেশে ঈদে ঘরমুখো স্বস্তিতে মানুষে বাড়ি ফিরছেন। নেই কোন ভোগান্তিরও। কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক একেবারে জটমুক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লার হাইওয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, এবারের ঈদ যাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কোন যানজট নেই। যানজট নিরসনে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশের ৯টি ইউনিট কাজ করছে। এই সঙ্গে পুরো চট্টগ্রাম বিভাগে থানা ও ফাঁড়িসহ হাইওয়ে পুলিশের ২১ ইউনিটে ৩০ পেট্রল কাজ করছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখার জন্য পশুর গাড়ি ও মানুষ নিরাপদে পৌঁছানো জন্য পাঁচটি রেকার ও দুইটি এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা রয়েছে। এছাড়াও ১০টি কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তু রাখা হয়েছে মানুষের সেবা প্রদানের জন্য। তিনি আরও বলেন, ঈদ ঘনিয়ে আসায় মহাসড়কে গাড়ির একটু চাপ বেড়েছে। তবে কুমিল্লার অংশ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে যানবাহনের কোথাও কোন যানজট নেই। মানুষ ও পশু ব্যবসায়ীরা স্বস্তি যাতায়াত করছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি নেই। অন্যান্য দিন হালকা জট থাকলেও টোল আদায়ে গতি বাড়ায় এখনও আর জট সৃষ্টি হচ্ছে না।
ঢাকা থেকে কুমিল্লার আসনে মিজানুর রহমান মানিক নাকে এক যাত্রী। তিনি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে কোন যানজট নেই। জটের কারণে কোথাও থাকতে হয়নি। নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে কুমিল্লা আসতে ফেরেছেন। মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায়ও কোন গাড়ি জট দেখেননি।
দাদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি জহুরুল ইসলাম জানান, কুমিল্লার মেঘানা ও গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা এলাকাসহ মহাসড়কের কোন জট নেই। তবে গাড়ির চাপ বাড়ছে। জট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে।