আসামের গোয়াহাটি রেলস্টেশনের কাছ থেকে নারী ও শিশুসহ ৯ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। ২৫ জুলাই আগরতলা-দেওঘর এক্সপ্রেসে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার ভুয়া আইডি কার্ড পাওয়া যায় তাদের কাছে। এর আগে শুক্রবার (২৩ জুলাই) আগরতলার করিমগঞ্জ থেকে নারী-পুরষ ও শিশুসহ ১৫ রোহিঙ্গাকে আটক করে রেলওয়ে পুলিশ। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এসব রোহিঙ্গারা আগরতলা হয়ে উত্তরপ্রদেশে ও বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এ নিয়ে দুই দিনে ২৪ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে তারা।
সপ্তাহের শুরুতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, যারাই অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করবে তাদেরকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যনন্দ রায় বলছেন, বিদেশি নগরিকরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অথবা ডকুমন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বসবাস করলে তাদেরকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং প্রচলতি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি করে গত কয়েক মাসে অনেক রোহিঙ্গা নাগরিকে আটক করেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে করিমগঞ্জ থেকে নারী শিশুসহ ১৯ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, তারা সবাই বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে দিল্লি, হায়দরাবাদ ও জম্মু-কাশ্মিরে জাওয়ার চেষ্ট করেছিল।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা।
এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।