করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ রোধে ঈদ পরবর্তী ‘কঠোর লকডাউনে’ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে বাসের বিকল্পে চলছে পিকআপ-মাইক্রোবাস ও সিএনজি অটোরিক্সা।
মহাসড়ক জুড়ে ওইসব যানবাহনে যাত্রীরা ছুটে চলছে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় আবার এক জেলা থেকে অন্য জেলায়।
পণ্যবাহী পিকআপ, মাইক্রোবাস-মারুতি ও সিএনজি অটোরিক্সায় দ্বিগুন যাত্রী নিয়ে তিনগুন ভাড়া আদায় করছে চালকরা। যাত্রীদের কেউ কেউ অতিপ্রয়োজনে যাতায়াত করলেও অধিকাংশরাই ছুটে চলছেন ঈদের দাওয়াতে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিমসার, চান্দিনা ও মাধাইয়া বাস স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। পুলিশের টহল গাড়ি স্টেশনে থামলে কিছুক্ষণের জন্য ওইসব যানবাহন সরে গেলেও পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবারও স্টেশন দখল।
চান্দিনা বাস স্টেশন এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী রুশিয়া বেগম জানান- ‘বোনের বাড়িতে ঈদের দাওয়াতে পরিবার নিয়ে ইলিয়টগঞ্জ যাচ্ছি’। তিনি অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন- ‘লকডাউনে বাস নাই, জনপ্রতি ২০ টাকা বাস ভাড়ার পরিবর্তে এখন ৬০ টাকা ভাড়ায় সিএনজিতে উঠছি’।
পিকআপ চালক রুবেল মিয়া জানান- ‘আমি ক্যান্টনমেন্ট থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত চালাইতাছি। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের যাত্রীরাই বেশি উঠতাছে’। লকডাউনে কেন যাত্রী বহন করছেন? এমন প্রশ্নে তিনি জানান- ‘রোডে যাত্রীর অভাব নাই, তাই বাহির হইছি। আমরা না নিলে মাইক্রোবাস-মারুতি তারাও তো নিব’।
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (ইন্সপেক্টর) জিয়াউল চৌধুরী জানান- ‘আমরা মহাসড়কের চেকপোস্ট করছি। এছাড়াও আমাদের টহল টিম আছে’। এতো কিছু করার পরও বাস স্টেশনগুলোতে এমন চিত্র কেন? এমন প্রশ্নে তিনি জানান- আমি এখনি টহল টিম পাঠাচ্ছি’।