ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বাড়িতে ঈদ করতে পারেনি যুবলীগ নেতা
Published : Monday, 26 July, 2021 at 12:00 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ||
পরিবার নিয়ে ঢাকার ভাড়া বাসা থেকে এসেছিলেন পৈত্রিক ভিটা গ্রামের বাড়িতে। আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের সাথে ঈদ উদ্যাপন করাই ছিল মূখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু পারিবারিক দ্বন্দ্ব বাঁধ সাধলেন। স্বজনদের দেয়া বাঁশ দিয়ে বাড়ির প্রবেশ মুখ ও চার-পাশ ঘেড়া থাকায় ঢুকতে পারেনি নিজ বসত ঘরে। এক সময়ের প্রভাবশালী যুবলীগ নেতার এমন করুণ দৃশ্যে বর্তমান নেতা-কর্মীরাও এগিয়ে আসেননি। পরে আবার তিনি ঢাকা ফেরত যান। ভুক্তভোগি মোখলেছুর রহমান কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আন্দিকুট ইউনিয়নের গণিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
যুবলীগ নেতা মোখলেছুর রহমান মুঠোফোনে দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, ‘গত ১৯ জুলাই সোমবার ঢাকা থেকে বাড়িতে আসছিলাম ঈদ করার জন্য। এসে দেখি বাড়ির চারপাশে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়েছেন আমার বড় ভাই আব্দুল মতিন ও তার ছেলেরা। বেড়া খুলতে অনেকের সহযোগিতা চেয়েছি, কিন্তু তাদের মারমুখি আচরণের কারণে কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি। নিরূপায় হয়ে ঢাকায় ফিরে আসি। আমার বড় ভাই আব্দুল মতিন ভাই-বোনদের পৈত্রিক সম্পত্তি তার স্ত্রীর নামে লিখে দিয়েছে। অথচ আমি পরিবার নিয়ে বাড়িতে ঢুকতে পারি নাই। গরু কেনার টাকা পকেটে ছিল, কিন্তু বাজারে যাওয়ার সাহস পাইনি। বাড়িতে ঢুকলে হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তারা। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে শুনেছি, আমার ঘরের মালামাল তারা নিয়ে গেছেন। সাংগঠনিক রাজনীতি করে ছাত্রলীগ থেকে যুবলীগ নেতা হয়েছি। আমারই যদি এমন করুণ দশা হয়, তাহলে অন্যদের কি হবে! প্রশাসন ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সহযোগিতা পেলে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়িতে ঈদ করতে পারতাম।’
মোখলেছুর রহমানের বড় ভাই অভিযুক্ত আব্দুল মতিন দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, ‘আমাদের নিজের জায়গায় আমরা বেড়া দিয়েছি। সে যদি বাড়িতে ঢুকতে না পারে, সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। মানবিক দিক থেকে বাড়িতে যাওয়ার রাস্তাটি খুলে দিতে পারতেন এমন প্রশ্নে? তিনি বলেন, তাঁর সাথে জায়গা জমি নিয়ে হিসাব নিকাশ আছে। তাই তাঁর ব্যাপারে মানবিক হতে পারি নাই।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তি দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, ‘এ বিষয়ে একাধিকবার মিমাংসা করা হয়েছে। কিন্তু মতিন ও তার ছেলেরা বৈঠকে মিমাংসা মেনে এসে এক সপ্তাহ পরে উল্টে যায়। তারা খুব উশৃংখল হওয়ায় স্থানীয়রা ভীতসন্ত্রস্ত থাকে।’    
বাঙ্গরা বাজার থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ নজরুল দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, ‘বিষয়টি দু:খজনক। তিনি আমাদের বড় ভাই। পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তাঁকে আমরা সর্বাত্বক সহযোগিতা করব।’   
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, ‘যুবলীগ নেতা মোখলেছুর রহমান লিখিত অভিযোগ দিলে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিব।’