কুমিল্লার
লালমাইয়ে একটি ঘরে থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার
দুপুরে (২৭ জুলাই) উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের একটি ঘর
থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হচ্ছে ইছাপুরা গ্রামের
হাসানুজ্জামানের ছেলে স্থানীয় ব্যবসায়ী হায়াতুন্নবী শরিফ (২৮) এবং অপরজন
একই গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে দোকানের কর্মচারী ফয়েজ আহমেদ (২৭)।
নিহতদের
পরিবার ও স্থানীয়রা ধারণা করা করছেন ঈদুল আজহায় গরু বিক্রির নগদ টাকার
লোভে শরিফ ও ফয়েজকে হত্যার পর লাশ ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় সূত্রে
জানা যায়, নিহত দুজন একই গ্রামের বাসিন্দা। শরিফ গ্রামে মুদি দোকানে
ব্যবসা করতেন অপরজন ফয়েজ আহমেদ শরিফ আহমেদের দোকানে চাকরি করতো। শরিফের
বাবা-মা সোমবার রাতে শরিফের বোনের বাড়িতে বেড়াতে গেলে রাতে তারা দোকান বন্ধ
করে ঘরে ঘুমাতে যায়। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে ঘুম থেকে উঠার জন্য তার বাবা
ডাক দিলে তাদের সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভাঙ্গলে তাদের লাশ দেখতে পায়। পরে
তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে এসে তাদের
লাশ উদ্ধার করে।
শরিফের বাবা হাসানুজ্জামান বলেন, তার ছেলে শরিফের কাছে
গরু বিক্রির ১২ লাখ টাকা ছিলো। গতকাল (সোমবার) বিকেলে খেলার মাঠে আরও কিছু
টাকা একজন ক্রেতা দিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজনের সামনেই শরীফ সেই টাকা গ্রহণ
করে। সম্ভবতো টাকার লোভে দুর্বৃত্তরা রাতের কোন সময় ফয়েজ আহমেদকে ধারালো
অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং শরিফ আহমেদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে।
এ বিষয়ে
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, শরিফ ও ফয়েজ
নামের দুই ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। একটি রুমে একজনের লাশ খাটে এবং
অন্যজনের লাশ রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনা তদন্ত ও লাশ
ময়নাতদন্তের পর ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।