কুমিল্লার লালমাইয়ে দুবৃর্ত্তদের হাতে খুন হওয়া হায়াতুন্নবী শরিফ ও ফয়েজ আহমেদ এর জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে তাদের জানাযার নামাজ সম্পন্ন হয়। জানাযার নামাজে শরিফ এর পিতা হাসানুজ্জামান ও ফয়েজ এর পিতা আবুল হাসেম সহ স্থানীয় এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রতি তাদের হত্যাকারীদের সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের অনুরোধ জানান। জানাযা নামাজে বক্তব্য রাখেন ভূশ্চি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম, বেলঘর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মজুমদার, বিশিষ্ট সমাজসেবক খোরশেদ আলম (খোকন), লাকসাম পৌরসভার যুবলীগ নেতা মোঃ মোশারফ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ফরিদুজ্জামান, গাজীমুড়া মাদ্রাসার হেড মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুল হালিম , বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মোঃ মহিন উদ্দিন প্রমুখ। এসময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। জানাযার নামাজ শেষে তাদের কে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এছাড়া বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ (পিপিএম)। এসময় উপস্থিত ছিলেন লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইয়ুব, এস আই জীবন রায়, জেলা গোয়েন্দা শাখার এস আই কামাল উদ্দিন সহ পুলিশ সদস্য বৃন্দ।
এসময় পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ (পিপিএম) শোকাহত পরিবার প্রধান ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রসঙ্গ, গতকাল লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে হায়াতুন্নবী শরিফ ও ফয়েজ আহমেদ নামে দুই যুবক কে হত্যা করে দুবৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে লালমাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।