উইকিলিবস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের পক্ষে রায় দিয়েছে ইকুয়েডরের একটি আদালত। সোমবার আদালতে এই রায়ের মাধ্যমে বাতিল হয়েছে তার নাগরিকত্ব। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটিতে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী কার্লোস পোভেদা। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এর প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ প্রত্যর্পণ এড়াতে প্রায় সাত বছর লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে কাটান। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তাকে নাগরিকত্ব প্রদান করেন ইকুয়েডরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো।
২০১৯ সালের এপ্রিলে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। ওইদিনই তাকে জামিন শর্ত ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ব্রিটিশ আদালত। তখন থেকে বেলমার্শ নামক কুখ্যাত কারাগারে সাজা ভোগ করছেন অ্যাসাঞ্জ। এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কম্পিউটার হ্যাক ও গুপ্তচর আইন লঙ্ঘনসহ ১৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। মার্কিন প্রশাসন তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে চায়। ব্রিটিশ পুলিশও অ্যাসাঞ্জকে হেফাজতে নিয়েই জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোর প্রশাসনিক আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ইকুয়েডরে বাস করতে ব্যর্থ হওয়াসহ অ্যাসাঞ্জের ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব আইনের বেশ কিছু লঙ্ঘন হয়েছে। এছাড়া অ্যাসাঞ্জের নাগরিকত্ব অনুমোদনের সময় কর্মকর্তারা অনিয়ম করেছিলেন।
অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী কার্লোস পোভেদা জানিয়েছেন, আদালতের রায় বাতিল করতে একটি আবেদন দাখিল করবেন তিনি। এই মামলায় হাজির হওয়ার অনুমতি অ্যাসাঞ্জের ছিল না বলেও জানান তিনি।