দিল্লির যন্তর মন্তরে মিছিল থেকে মুসলিম বিরোধী স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংসদ ভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে সাম্প্রদায়িক এবং উস্কানিমূলক স্লোগানের ঘটনায় তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লি পুলিশের কমিশনার রাকেশ আস্থানা।
রোববার দিল্লি যন্তর মন্তরের কাছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও দিল্লি বিজেপির সাবেক মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায় নেতৃত্ব একটি মিছিল হয়।
এতে স্লোগান দেওয়া হয় ‘হিন্দুস্তান মে রেহনা হোগা, জয় শ্রী রাম কেহনা হোগা’ অর্থাৎ ‘ভারতে থাকতে হলে জয় শ্রীরাম বলতে হবে।’ এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় মামলা করে দিল্লি পুলিশ।
সোমবার অশ্বিনীকে কনাট প্লেস থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। তারপর রাতেই অন্যদের আটক করা হয়। অশ্বিনী যদিও সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অশ্বিনী ছাড়াও দীপক সিংহ হিন্দু, বিনীত ক্রান্তি, প্রীত সিংহ, সুদর্শন বাহিনীর প্রধান বিনোদ শর্মা এবং এবং পিঙ্কি ভাইয়া নামের আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার লোকসভার অধিবেশনে সোচ্চার হয়েছেন হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে মাত্র ২০ মিনিট দূরত্বে ‘মুসলিম-বিরোধী’ স্লোগান ওঠা সত্ত্বেও কেন প্রশাসনের তরফে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হল না, নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
একইদিনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দিল্লি পুলিশের কমিশনার রাকেশ আস্থানাকে চিঠি দিয়েছেন ভারতীয় মুসলমানদের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের প্রধান মাওলানা সাইয়্যেদ মাহমুদ আসআদ মাদানী।