দেবীদ্বারে সরকারী সহযোগীতায় নতুন ঘর নির্মাণ সামগ্রী গ্রহনকালে বিবাহযোগ্য মেয়ের বিয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আশা ব্যাক্ত করলেন এক ‘মা’। বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে মোঃ আবুল হোসেনের স্ত্রী রোজিনা আক্তার'র হাতে দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ তহবিল থেকে ২বান (১৬টি) ঢেউটিন ও ৬ হাজার টাকার চেক এবং উপজেলা পরিষদের আপদকালীন তহবিল হতে ১০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রাকিব হাসান। ঘর নির্মাণ সামগ্রী গ্রহনকালে মোঃ আবুল হোসেনের স্ত্রী রোজিনা আক্তার ওই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ‘জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর জেলা প্রশাসকের নজরে আসে। তিনি তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রয়োাজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপনকারী আবুল হোসেন’র নতুন ঘর নির্মাণে পাশে এসে দাঁড়ালেন উপজেলা প্রশাসন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ গোলাম মাওলা, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মইনুল হাসান, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা রমেন কুমার সাহা এবং বুড়িরপাড় গ্রামের মোহাম্মদ আলী।
উল্লেখ্য মোঃ আবুল হোসেন সুবিল ইউনিয়নের বুড়িরপার গ্রামের আলী আহমদ'র বাড়ীর মৃত ইউনুস মিয়ার পুত্র। কৃষি কাজ করে পরিবার নিয়ে কষ্টের জীবন যাপন তার।
সরকারি উপহার ঘরের জন্য ঢেউটিন ও নগদ অর্থ গ্রহণকালে আবুল হোসেনের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বলেন, ৩ ছেলে ২ মেয়ে এবং স্বামী স্ত্রী নিয়ে ৭ জনের সংসার আমাদের। আমার বড় মেয়ে লিলি আক্তার বিবাহযোগ্য, থাকার মত একটি ঘর নেই আমাদের। আজকে সরকার আমাকে টিন ও টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন, আশা করছি নতুন ঘর তৈরি করে মেয়ের বিয়ে দিতে পারব।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রাকিব হাসান বলেন, সরকারের নির্দেশনা একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে অসহায় অসচ্ছল ব্যক্তিদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো, অসহায়দের পাশে সরকার সবসময় আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।