টানা ১৯ দিনের কঠোর লকডাউন শেষে গণপরিবহন চলতে শুরু করায় কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ বেড়েছে। পরিবহনের এই চাপ বাড়তে শুরু করে মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে। চাপ সামলিয়ে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। তবে ধীরগতি বা জটের কোন দৃশ্য নেই কুমিল্লার ১০৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। যানজটমুক্ত পরিবেশে যাত্রীরা স্বস্তিতে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছছেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। নেই ভোগান্তি। এদিকে মহাসড়কে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ বাড়লেও দাউদকান্দি মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোল প্লাজায়ও অন্যদিনের দিনের মতো কোন জট নেই। অন্যদিকে কুমিল্লার শাসনগাছা, চমবাজার ও জাঙ্গালিয়া আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকাসহ আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সকল রোডে যাত্রী নিয়ে বাস ছাড়তে দেখা গেছে। যার কারণে পণ্যবাহী পরিবহনের সঙ্গে গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ায় কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
গাড়ির চাপ বাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি জিয়াউল হক জানান, মহাসড়কে যানচলাচল একেবারে স্বাভাবিক। নেই জট বা ধীরগতি। তবে লকডাউন শেষে গণপরিবহন চলতে শুরু করায় যানবাহনের একটু চাপ বেড়েছে।
কুমিল্লা জেলা বাস মালিক সমিতির মহাসচিব তাজুল ইসলাম জানান, লকডাউন শিথিলের প্রথমদিন থেকে কুমিল্লার টার্মিনালগুলোতে বিভিন্ন রোডে বাস চলতে শুরু করেছে। তবে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার রোডে পরিবহনের অর্ধেক বাস চলাচল করছে। যাত্রী পরিবহনে মানা হচ্ছে সরকারের দেওয়া বিখিনিষেধ।
হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, লকডাউন শেষে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। চাপ সামলিয়ে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে পুলিশ। মহাসড়কের গাড়ির চাপ থাকলেও কোথাও কোন জট নেই।