Published : Wednesday, 11 August, 2021 at 12:00 AM, Update: 11.08.2021 2:19:02 AM
তানভীর দিপু:
কুমিল্লায়
আগষ্ট মাসেই মৃত্যুরণ করেছে শতাধিক মানুষ। করোনা নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে
সংক্রমন শনাক্তের হার কমে আসলেও এই মৃত্যুর কারন হিসেবে উচ্চসংক্রমণের সময়
অসচেতনাকেই দায়ী করছেন করোনা প্রতিরোধ সংশ্লিষ্টরা। তারা এটিও বলছেন,
লকডাউন শিথিল করা হলে সংক্রমন প্রতিরোধে মানতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। না হয়
আবারো সংক্রমন বাড়লে প্রাণহানি বাড়বে যে কোন সময়।
জেলা সিভিল সার্জন
কার্যালয়ের তথ্য মতে, চলতি আগষ্ট মাসের ১০ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে
কুমিল্লায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১২ জন। এই ১০ দিনে গড়ে মৃত্যুবরন করেছেন ১২ জন।
সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় মারা গেছে ১১ জন। তবে উপসর্গ নিয়ে কুমিল্লায় মৃত্যুর
সংখ্যা কত তার তথ্য পাওয়া যায় নি স্বাস্থ্যবিভাগের কাছে। তবে এই কয়দিনের
নমুনা পরীক্ষা বিপরীতে সংক্রমণ হার নেমে এসেছে ৩০ শতাংশের নিচে।
এদিকে
কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদের মধ্যে ছয়জন নারী ও পাঁচজন পুরুষ রয়েছেন। একই সময়ে নতুন করে ৩০৯ জনের
করোনা শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুলাই) বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন
কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায়
১১০৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৩০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে জেলায় করোনায়
আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫ হাজার ১১ জনে এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮২৯
জনে।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৫৪ জনই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা।
বাকিদের মধ্যে আদর্শ সদরের পাঁচজন, সদর দক্ষিণের ১১ জন, বুড়িচংয়ের ১০ জন,
চান্দিনার আটজন, চৌদ্দগ্রামের ২৯ জন, দেবিদ্বারের ২২ জন, দাউদকান্দির
চারজন, লাকসামের সাতজন, লালমাইয়ের ১০ জন, নাঙ্গলকোটের ৩৩ জন, বরুড়ার ৩৭ জন,
মনোহরগঞ্জের ১৮ জন, মেঘনার ১৮ জন, হোমনার ১৪ জন, তিতাসের ৯ জন,
ব্রাক্ষণপাড়ার ১৫ জন, মুরাদনগরের পাঁচজন রয়েছেন।
এদিকে কুমিল্লায় করোনা
প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলছে টিকা প্রদান কার্যক্রম। গণ টিকার
ক্যাম্পেইন ছাড়াও নিয়মিত টিকা কার্যক্রমে সাধারণ মানুষ। গতকাল থেকে শুরু
হয়েছে প্রথমদিকে রেজিষ্ট্রেশন করা এস্ট্রেজেনেকা কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ
টিকা যারা নিয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া। সর্বশেষ গতকাল কুমিল্লা নগরীতে
এস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২৬০ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে নিয়েছেন ৪
হাজার ৯৮৮ জন। এদিকে সোমবার বিকালে জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন এক
সংবাদ সম্মেলনে জানান, গনটিকার প্রথম ডোজ সম্পূর্ন হয়েছে। এসময় জেলার ১
লক্ষ ৭২ হাজার ৩২৭ জনকে টিকা প্রদান করা হয়। সার্বিকভাবে এ গনটিকার
লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে ১০২ শতাংশ। জেলায় এ পর্যন্ত ৬ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৫১
জনকে প্রথম ডোজে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছেন ১ লক্ষ
৮৫ হাজার ৮১৭ জন।