অস্ট্রেলিয়ার সাথে চতুর্থ টি-টোয়েন্টির পর হঠাৎ গুঞ্জন শোনা গেল, শেষ ম্যাচ না খেলেই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবেন। টাইগারদের সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেছে। তাই শেষ ম্যাচ না খেলে যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী-সন্তানের সাথে দেখা করতে চলে যাবেন ‘চ্যাম্পিয়ন’ অলরাউন্ডার।
কিন্তু সেটা গুজব বলে প্রতিয়মান হয়েছে। তবে এখনো শোনা যায়, আসলে নাকি সত্যিই সাকিব অস্ট্রেলিয়ার সাথে প্রথম তিন ম্যাচে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর চলে যেতে চেয়েছিলেন এবং সে ইচ্ছের কথা নাকি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে জানিয়ে ছিলেনও।
কিন্তু বিসিবি বিগ বস তাকে যাবার অনুমতি দেননি। তাই সাকিব সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নেন। চতুর্থ ম্যাচে সুবিধা করতে না পারলেও পঞ্চম ম্যাজে সাকিব বল হাতে দারুণভাবে জ্বলে ওঠেন। চার ওভারের স্পেলে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করে হন ম্যাচ সেরা। শুধু ম্যাচ সেরাই নন। সিরিজ সেরা পারফরমারের পুরস্কারও উঠেছে সাকিবের হাতে।
এবং শেষ ম্যাচে প্রথম ২ উইকেট দখলের সঙ্গে সঙ্গে এক দুর্লভ কৃতিত্বের অধিকারী হন সাকিব। বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার রান ও ১০০ উইকেট শিকারী বনে যান এ বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার। ৯ আগস্ট রাতে সাকিবের স্পিন ঘূর্ণি দিয়ে পাওয়া দারুণ জয়ে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়ার ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
তৃতীয় ম্যাচের পরই খুব কাছের এক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করে, সাকিব সিরিজ শেষ হওয়ার দিন দুয়েক পর আমেরিকা যাবেন। টানা তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করা টাইগাররা শেষ পর্যন্ত জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে। এরপর থেকেই প্রহর গোনা কবে, কখন আমেরিকা যাবেন সাকিব?
এদিকে আজ বুধবার দুপুর গড়ানোর পরই ক্রিকেট পাড়ায় অস্ফুট গুঞ্জন, আচ্ছা সাকিব কী তাহলে যুক্তরাষ্ট্র চলে গেছেন? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন পর্যন্ত খবরটি চাওর হয়নি। তবে একটি সূত্রর দেয়া খবর, আজ ভোরে কাতার এয়ার ওয়েজের ফ্লাইটে চলে গেছেন সাকিব।
এ ব্যাপারে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগো নিউজকে জানান, আসলে এটাতো আমার জানার কথা না। এটা জানবে ক্রিকেট অপারেশন্স। আমি জানি ২৪ আগস্ট টিম হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢোকা এবং অনুশীলন। তাতে অংশ নেবে সাকিব।
এদিকে সাকিব একা নন, বাংলাদেশের প্রায় ক্রিকেটার, কোচ ও অন্যান্যদের বিমান বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনে যিনি রাখেন অগ্রণী ভূমিকা, সবাই বিদেশ যাত্রা ও দেশে ফেরার সময় যাকে বিমানবন্দরে আশা করেন- সেই ওয়াসিম খানও নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি সাকিব কী সত্যিই চলে গেছেন কি না? অবশ্য ওয়াসিম খানই জাগো নিউজকে জানিয়েছিলেন, সিরিজ শেষ হবার দিন দুয়েক পরে যাবেন সাকিব। সে হিসেবে বুধবার ভোরে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
কিন্তু একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর এখনো যাননি তিনি। তবে আজ মধ্যরাত কিংবা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোরে- যাই বলা হোক না কেন, সে সময়ই ফ্লাইট সাকিবে। সম্ভবত ভোর ৪টায় কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে চেপে যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি জমাবেন জুলাই মাসের প্লেয়ার অব মান্থ নির্বাচিত হওয়া সাকিব।