মানিক দাস ॥ ফরিদগঞ্জ উপজেলায় একইদিনে ৬টি সড়ক দুর্ঘটনা মতো দুঘটনা ঘটেছে। এতে বাসের নিচে চাপা পড়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পৃথক এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। গত ১১ আগস্ট বুধবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৯নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। অপরদিকে উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর দণি ইউনিয়নের হাঁসা এলাকায় একই স্থানে পৃথক পৃথক সময়ে ৫টি পণ্যবাহী ট্রাক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। প্রত্যদর্শীরা জানিয়েছেন, বাস চাপায় নিহত সোহেল মিজি ফরিদগঞ্জ থেকে পণ্য নিয়ে সাইকেলে করে দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ফরিদগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা আনন্দ পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে বাসটি রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এ সময় বাসের নিচে চাপা পড়েন সোহেল মিজি।
স্থানীয়রা সোহেলকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। কর্মরত চিকিৎসক সোহেল মিজিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে এ্যাম্বুলেন্সেই তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার এবং ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়। এ সময় দুর্ঘটনায় বাসে থাকা কমপে অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। ফরিদগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে ভিন্ন দুর্ঘটনার বর্ণনায় জানা গেছে, বুধবার ভোরে বিভিন্ন সময়ে শারীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের হাঁসা এলাকায় ঢাকা মেট্রো-ট ২২০৬৭৭, ঢাকা মেট্রো-ট ১৬৩০৮৩ এবং মাগুরা-ট ১১০১৪৬ সহ ৫টি পণ্যবোঝাই ট্রাক গর্তে পড়ে উল্টে যায়।
ট্রাকে থাকা গমের বস্তা ও গ্যাস সিলিন্ডারগুলো রাস্তায় ছিটকে পড়ে। ট্রাকগুলো কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে খুলনা ও বেনাপোল থেকে ছেড়ে এসেছে বলে জানা গেছে। গাড়ি ও পণ্যের য়তি হলেও দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তিগ্রস্ত স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাস্তাটি ভারী যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে চালক ও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি বেড়েছে। গাড়ি ও পণ্যের য়তির বাইরে প্রতিটি গাড়ি টেনে তুলতে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা গুণতে হচ্ছে। পণ্য উঠা নামা করতেও বাড়তি মজুরি গুণতে হচ্ছে। এ সময় আঞ্চলিক মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।