ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
পরীক্ষার পরিস্থিতি না হলে ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’
Published : Friday, 13 August, 2021 at 12:00 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক: নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসএসসি এবং ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে মহামারীর কারণে তার অনুকূল পরিস্থিতি নাও থাকতে পারে বিবেচনায় রেখেই এগোচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এতথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, “দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমছে। শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের উপরে ছিল, সেটা কমে ২২-২৩ শতাংশের মতো হয়েছে। এর মধ্যে টিকা দেওয়াও আবার শুরু হয়েছে। তাই আমরা আশা করছি, আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসএসসি ও ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নিতে পারব।
“তবে এবারও যদি কোনো কারণে অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, যেমনটা আমরা গতবার দেখেছিলাম, তখন প্রয়োজনীয় যে ব্যবস্থা নিতে হয়, সেটা আমরা নেব।”
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত বছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও এই সময়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরানো যায়নি।
ফলে মহামারীকালে কোনো পাবলিক পরীক্ষায়ও বসতে পারেনি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। গত বছর মহামারীর আগে এসএসসি পরীক্ষা হয়ে গেলেও এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন করতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফল দেওয়া হয়।
এবার নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষা ও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের মাধ্যমে’ নেওয়ার পরিকল্পনার কথা গত ১৫ জুলাই জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ পরিস্থিতি অনুকূল হলে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে গ্রুপভিত্তিক শুধুমাত্র ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর পরীক্ষার সময় ও নম্বর দুটিই হ্রাস করে পরীক্ষা গ্রহণ করতে আমরা পারব বলে আশা করছি।”
সেজন্য এরই মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, এ পরীক্ষায় তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে সময় ও নম্বর কমানো হবে। আবশ্যিক ও চতুর্থ বিষয়ের কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না।
তবে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে জেএসসি/সসমান ও এসএসসি সমমান পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ করে আবশ্যিক বিষয় এবং চতুর্থ বিষয়ের নম্বর দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড অনুযায়ী চতুর্থ বিষয়ের নম্বর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হবে। ফলে এ মুহূর্তে শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ডের চতুর্থ বিষয় পরিবর্তন বা সংশোধনের সুযোগ নেই বলে জানানো হয়েছে।
এভাবে নম্বর বণ্টনে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।