দুই সপ্তাহ আগে অলিম্পিকের প্রথম পদক জিতেছেন মারিয়া আন্দ্রেইজিক। জাভেলিন থ্রোয়ে জিতেছেন রৌপ্য। ক্যারিয়ারের প্রথম অর্জন যে কোনও ক্রীড়াবিদের কাছেই মহামূল্যবান। কিন্তু পোলিশ এই তারকা যখন ৮মাস বয়সী মালিসার মুখখানি দেখলেন, তখন পদকটির জন্য বিন্দুমাত্র টান অনুভব করলেন না। অসুস্থ সেই শিশুর চিকিৎসার্থেই নিলামে তুলেছেন অলিম্পিক পদক।
হৃদপিন্ডের গুরুতর সমস্যায় ভুগছেন মালিসা। তার জরুরি ভিত্তিতে সার্জারির প্রয়োজন। পরিস্থিতি এতই নাজুক যে ইউরোপের বড় বড় অনেক হাসপাতাল এই শিশুটির সার্জারি করতে অনীহা প্রকাশ করেছে। এমন সময়ে তাদের শেষ ভরসা যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টার। জীবন রক্ষাকারী সার্জারিটি তারাই করতে সক্ষম।
কিন্তু সার্জারিটি করতে প্রয়োজন বিপুল অর্থের। প্রায় ৩ লাখ ৮৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার টাকার কিছু বেশি। মালিসার বাবা-মা সেই অর্থ জোগানে অনলাইনেই তহবিল সংগ্রহের কাজটি শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম পোস্টের পর অর্থ উত্তোলিত হয় অর্ধেকের মতোন।এর পরই জরুরি ভিত্তিতে পোস্ট আপডেট করেন মালিসার বাবা-মা। তখনই সেটি নজরে আসে অলিম্পিক পদক জয়ী মারিয়ার।
সেই পোস্টের পর নিজের প্রথম অলিম্পিক পদক নিলামে তুলতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি। নিজের ফেসবুকে পেজে রৌপ্য পদকটি নিলামে তোলার কথা বলে পোস্ট দিয়েছেন। এর পর পোলিশ এক সুপারমার্কেট চেইন সেটি কিনে নিয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারে। অবশ্য সেটি নিলামে কিনে নিলেও পদকটি আবার মারিয়াকেই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। আর সেই অর্থ দিয়ে দেওয়া হয়েছে মালিসার চিকিৎসা ব্যয়ে।