বয়সে ছাড় পেলেন চাকরি প্রত্যাশীরা
Published : Friday, 20 August, 2021 at 12:00 AM
মহামারীকালে
ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের বয়সে ছাড় দিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ করতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, “যে সকল
মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও এর অধীনস্থ অধিদফতর/পরিদফতর/দফতর এবং
সংবিধিবদ্ধ/স্বায়ত্বশাসিত/জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠানসমূহ কোভিড-১৯ পরিস্থিতির
কারণে বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ব্যতীত) সরাসরি নিয়োগের
লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সেই সকল প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১
ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা
২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য
সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।”
এর ফলে চাকরি প্রার্থীরা মহামারীর কারণে বয়সের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২১ মাসের ছাড় পেলেন।
গত
১২ অগাস্ট জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন,
মহামারীকালে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের বয়সে ২১ মাস ছাড় দিতে
একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে
প্রবেশের প্রান্তসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়ানোর দাবি বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজপথে
রয়েছে, তবে স্থায়ীভাবে তা বাড়াতে রাজি নয় সরকার।
এর মধ্যে মহামারীর
মধ্যে নিয়োগ বন্ধ থাকায় যারা ক্ষতির মুখে পড়েছে, তাদের জন্য গতবছরও এক দফা
সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে
গিয়েছিল, সেপ্টেম্বরেও তাদের সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়।
মহামারীর
মধ্যেই এবছর তিনটি বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হলেও অন্য চাকরির
সার্কুলার খুব বেশি হয়নি। ফলে চাকরির বাজারের অবস্থাও খুব বেশি বদলায়নি।
এসব কারণে নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয় বলে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ।
তিনি
বলেছিলেন, “গত বছরের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর হয়েছে, তার এই ছাড়ের আওতায়
আসবে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা যেসব বিজ্ঞাপন দেবে, সেই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ
করবে, যাদের বয়স ২৫ মার্চ ৩০ বছর হয়েছে, তারাও আবেদন করতে পারবে।”
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর।
প্রথম
ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ
দেওয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট
সরকারি দপ্তরের।
গত বছর জুলাই মাসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে
১৮ লাখ ২১ হাজার ২৮৪টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ জন
কর্মরত ছিল, ফাঁকা ছিল তিন লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি পদ। ফাঁকা এসব পদের সংখ্যা,
ওই সময়ের মোট পদের ২১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
মহামারীর মধ্যে সেসব পদ পূরণের
কাজটি অনেকটাই থমকে আছে। গত বছর মার্চ থেকে মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটির সময় সব
ধরনের নিয়োগ বন্ধ ছিল। পরে কিছু প্রক্রিয়া শুরু হলেও সংখ্যায় তা সামান্য।